কি আছে সিলেটের লেচু মিয়ার ভাগ্যে, জামিন শুনানি আজও হবে হাইকোর্টে
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ নভেম্বর ২০১৬, ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ওই কারখানার চেয়ারম্যান সৈয়দ মকবুল হোসেন (লেচু মিয়া) ও তার পরিবারের সদস্যসহ আট কর্মকর্তার হাইকোর্টে করা জামিন আবেদন সোমবারের আংশিক শুনানির পর আজও (মঙ্গলবার) শুনবেন আদালত।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও জাফর আহমদের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ জামিন আবেদন উপস্থাপন করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ট্যাম্পাকো ফয়েলস কারখানায় বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গেলে অন্তত ৩৪ জন নিহত হন, আহত হন আরও অন্তত ৪০ জন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মাহবুব আলী ও এম আতাউল গণি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। উভয় পক্ষের আংশিক শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করে।
সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন ওই কারখানায় সেদিন ৭৫ জনের মতো কাজ করছিলেন।
মকবুল হোসেন লেচু মিয়া সিলেটের গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনবারই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে একসময় তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
দুর্ঘটনার পর ১২ সেপ্টেম্বর কারখানা মালিক মকবুল ও কর্মকর্তাসহ আটজন এবং ১৮ সেপ্টেম্বর তারাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় হত্যা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
এই দুই মামলায় বিএনপি নেতা মকবুলসহ আটজন হাই কোর্টে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন। এদের মধ্যে কারখানা চেয়ারম্যান মকবুল ছাড়া অন্যরা হলেন- তার স্ত্রী সাজেদা পারভীন হোসেন, ছেলে ট্যাম্পাকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তানভীর আহমেদ ও মেয়ে আবিদা হোসেন, ট্যাম্পাকোর মহা-ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান, ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মনির হোসেন, ডিএমডি সাফি-উস-সামি আলমগীর ও ব্যবস্থাপক (প্রশাসন ও আইন) আবু হানিফ।