ওসমানীনগরের সেই বাড়ী নিয়ে এখনো আতংক !
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০১৬, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক: গুলশান হামলার ৪ মাস অতিবাহিত হলেও জঙ্গি শাফির গ্রামের বাড়ি ঘিরে এলাকাবাসীর আতংক এখনো কাটেনি । গুলশান অন্যতম হোতা তাহমিদ রহমান সাফি ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল গ্রামের সফিউর রহমানের পুত্র। সফিউর রহমান ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালনসহ তিনি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বও পালন করেন।
বাড়ি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা একই গ্রামের মৃত আজিদ উল্যার পুত্র জাহেদুর রহমান (৪০) জানান, তিনি ৮/৯ মাস ধরে তিনি বাড়ির দায়িত্বে থাকলেও এ বাড়ির কেউ এরমধ্যে গ্রামে আসেননি। তিনি বিগত কয়েকমাস ধরে সফিউর রহমানের দূর সর্ম্পকের এক ভাতিজার মাধ্যমে এ বাড়িটির দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু সচিবসহ তার পরিবারের লোকজনকে চোখে দেখিনি।পরে বাড়িতে পুলিশ আসায় তিনি জঙ্গি শাফির পরিচয় জেনেছেন।
তবে সফিউর রহমানের কোন ভাতিজার মাধ্যমে তিনি বাড়িটি দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছেন জানতে চাইলে জাহেদুর রহমান আমতা আমতা করে বলেন, তার নাম মনে নেই।
স্থানীয় একাধিক প্রবীণ বলেন, পেশাগত কারনে সাফিউর রহমান ঢাকায় অবস্থান করলেও বছরে দু-একবার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন এবং এলাকার মানুষদের সাথে কুশল বিনিময় করতেন। এলাকার লোকেরাও তাকে খুব সম্মান করে। কিন্তু তার ছেলে শাফি সম্পর্কে কোন ধারণা নেই কারো। বাবার সাথে শাফি কয়েকবার বাড়িতে এলেও এলাকার লোকজনের সাথে মিশতে চায়নি কখনো।
দয়ামীর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিন সুরমানিউজ২৪.কমকে বলেন, শাফির বাবা সাফিউর রহমান সাহেবকে একজন ভালো মানুষ হিসাবে এলাকাবাসী প্রবীণ ব্যক্তিরা জানেন। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকায় বসবাস করায় এলাকার কেউই সাফিউর রহমানের পরিবারের সাথে পরিচিত নন। ফলে তাঁর ছেলে-মেয়েরা কে কি রকম বা কি করে সে ব্যাপারে আমরা এলাকাবাসী অবগত নই। সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে সাফিউর রহমানের ছেলের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার খবর জানতে পেরে আমরা সবাই হতবাক।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই গুলশানে রেস্টুরেন্টে হামলার পর আইএসের নাম এই ভিডিওবার্তা প্রকাশ করা হয়। ভিডিওবার্তায় শাফিসহ তিনজনকে গুলশানের হামলা পর বাংলাদেশে আরো হামলার হুমকি দিতে দেখা যায়।