সিলেটে ৪ হাজার দোকান ভেঙ্গে আধুনিক মার্কেট করার উদ্যোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১:২৮ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট নগরীর লালদিঘী হকার্স মার্কেটের ৪টি ব্লকের প্রায় ৪ হাজার দোকান ভেঙ্গে আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এ লক্ষ্যে জরাজীর্ণ হকার্স মার্কেটের চারটি ব্লকের দোকানকোটাগুলো ভেঙে ফেলতে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, সিলেট পৌরসভা থাকাকালীন সময়ে লালদিঘী হকার্স মার্কেট নির্মাণ করা হয়। সে সময় অপরিকল্পিতভাবে এ মার্কেট নির্মাণ করার ফলে বেশিরভাগ দোকানই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। মার্কেটের এ, বি, সি ও ডি ব্লকে ৪ হাজার দোকানঘর রয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া বর্তমানে হকার্স মার্কেট একেবারে জীর্ণশীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এরকম অবস্থায় হকার্স মার্কেট ভেঙ্গে আধুনিক বহুতল মার্কেট করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সিসিক।
সূত্র আরো জানায়, আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার আগে লালদিঘী হকার্স মার্কেট ভাঙ্গার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তবে সে সময় কয়েকজন ব্যবসায়ী আদালতে মার্কেট ভাঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা করলে আরিফের উদ্যোগ পূর্ণতা পায়নি। সম্প্রতি আদালতের রায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে এসেছে। সে জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হকার্স মার্কেট ভাঙ্গার তোড়জোড় শুরু করেছে সিসিক।
জানা যায়, হকার্স মার্কেটের ব্লক এ’তে নীচ তলায় ৮০,৭২৪.৫৫ বর্গফুট ও দ্বিতীয় তলায় ৭৭,৭২৭.৫৮ বর্গফুট, ব্লক বি’তে নীচ তলায় ৫৯,৬৬০.৬৮ বর্গফুট, দ্বিতীয় তলায় ৫৯,৬৬০.৬৮ বর্গফুট ও তৃতীয় তলায় ৩,৩২৩.৫০ বর্গফুট, ব্লক সি’তে নীচতলায় ৭৫,২৯৪.২০ বর্গফুট, দ্বিতীয় তলায় ৭৫,২৯৪.২০ বর্গফুট ও তৃতীয় তলায় ১৪৫৪.৩৪ বর্গফুট এবং নীচ তলায় ৯০,৭০৫.২৮ বর্গফুট, ব্লক ডি’তে দ্বিতীয় তলায় ৯০,৭০৫.২৮ বর্গফুট ও তৃতীয় তলায় ১০,৯৪৫.৮৬ বর্গফুট দোকানকোটা ভাঙার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই শুরু হবে মার্কেট ভাঙার কাজ। পরে সেখানে বহুতল আধুনিক মার্কেট করা হবে। নতুন মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পুর্নবাসন করা হবে।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন, জরাজীর্ণ হকার্স মার্কেট ভেঙ্গে আধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে ওই মার্কেটে যেসব ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন, তাদেরকে নতুন নির্মিত ভবনে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলে ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও সিসিক উপকৃত হবে।