পেঁপে চাষে আছাদুর রহমানের ভাগ্যবদল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ আগস্ট ২০১৬, ১২:৪২ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা:
পেঁপে বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় একটি ফল। পাকা পেঁপে খেতে খুবই সুস্বাদু। আর কাঁচা পেঁপে থাকতে সবজি হিসেবে রয়েছে এর ব্যাপক ব্যবহার। তবে বাজারে কাঁচা-পাকা এই দুই ধরনের পেঁপেরই প্রচুর চাহিদা রয়েছে। হরেক রকমের পুষ্টি ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন এই পেঁপে চাষ করে নিজের ভাগ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের শাসন ইলামপাড়া গ্রামের কৃষক আছাদুর রহমান। শুধু অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে পেঁপে চাষে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ভাগ্যবদল করেছেন। তিনি এবার চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ বিঘা জমিতে রেডলেডি জাতের এক হাজার পেঁপের চারা রোপণ করেছিলেন। আর প্রথমবারই পেয়েছেন সফলতা। এখন গাছে ফলন দেখে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন। কৃষক আছাদুর রহমান জানান, এ বছর তিনি লেবু বাগানে বয়স্ক লেবু গাছ তুলে নতুন চারা রোপণ করেন। একদিন উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অজিত কুমার পাল তাকে বলেন, লেবু চারা বড় হয়ে ফল আসতে কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগবে। এই সময়ের মধ্যে লেবু গাছের ফাঁকে ফাঁকে পেঁপের চারা রোপণের বুদ্ধি দেন তিনি। তার পরামর্শেই পেঁপে চাষ শুরু করেন। এতে খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা। জুলাই মাসের প্রথম সাপ্তাহে মাত্র চার দিনেই ২২-২৩ টাকা কেজি দরে দুই হাজার কেজি পেঁপে বিক্রি করে পেয়েছেন পয়তাল্লিশ হাজার টাকা। এটা ছিল তার বাগানের প্রথম পেঁপে বিক্রি। এভাবে এক বছরে পেঁপে বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা আয় হবে। আর যদি পেঁপে গাছে পাকিয়ে বিক্রি করতে পারেন তাহলে লাভের পরিমাণ আরও অনেক বেশি হবে। সরেজমিনে বাগানে গিয়ে দেখা যায়, তিন থেকে চার ফুট উঁচু সারি সারি প্রতিটি পেঁপে গাছে ২০-২৫টি করে পেঁপে ঝুলে আছে। এর একেকটির ওজন হবে দুই থেকে আড়াই কেজি করে।