বিয়ানীবাজার কলেজে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষ : আহত ৩
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ আগস্ট ২০১৬, ১০:২২ পূর্বাহ্ণ
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি :
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সকালে একাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা যায়- একাদশ শ্রেণির পাঠদান চলাকালে শ্রেণি কক্ষে বসা নিয়ে ছাত্রলীগকর্মী (পল্লব গ্রুপ) ফাহিম আহমদের সাথে ছাত্রলীগকর্মী (স্বাধীন গ্রুপ) রাব্বি ও আবিদের বাকবিতণ্ডা ঘটে। তাদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটলে ফাহিম আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এর জের ধরে কলেজ ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সাহেদ ও আবিদ নামের দুই ছাত্রলীগকর্মী আহত হয়েছেন। সংঘর্ষ শেষে উপজেলা ছাত্রলীগ পল্লব গ্রুপের নেতাকর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাস ও পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থীর অভিযোগ- এসময় কলেজ ক্যাম্পাসে তিন পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকলেও সংঘর্ষ থামাতে তারা কোন ভূমিকা পালন করেনি। দুপুর ১২টার দিকে এসআই শেখর রঞ্জনের নেতৃত্বে আরও ৫ পুলিশ সদস্য কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্রলীগ স্বাধীন গ্রুপের নেতাকর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে এসে বিক্ষোভ মিছিল করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের কলেজ ক্যাম্পাস থেকে নামিয়ে দেয়। এসময় ছাত্রলীগ কর্মীদের কলেজ ক্যাম্পাসে বিচরণ নিয়ে পুলিশের সাথে উপজেলা ছাত্রলীগ (মূলধারা গ্রুপের) নেতা ছিদ্দিকুর রহমানের বাকবিতণ্ডা ঘটে। এ নিয়ে পুলিশ ও মূলধারা ছাত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে কলেজ অধ্যক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ক্যাম্পাস ত্যাগ করে কলেজের মূল ফটকের বাইরে অবস্থান নেয়।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সদস্য কে.এইচ সুমন (স্বাধীন গ্রুপ) বলেন- কর্মীদের উপর পল্লব গ্রুপের স্বশস্ত্র ক্যাডাররা হামলা চালিয়েছে, গুলি করে সাধারণ শিক্ষার্থীর মধ্যে আতংক তৈরি করেছে। আমরা সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছি।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা (পল্লব গ্রুপ) শাব্বির আহমদ বলেন- একাদশ শ্রেণি ছাত্রলীগকর্মীকে তারা মারধর করে। এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চাইতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। আমরা এর প্রতিবাদ করে তাদের ক্যাম্পাস থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।
উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা (মূলধারা গ্রুপ) ছিদ্দিকুর রহমান বলেন- সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে কলেজে অবস্থান করে। পুলিশের সামনে গুলি করে, রাম দা উঁচিয়ে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখায় অথচ পুলিশ দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এ নিয়ে এসআই শেখর রঞ্জনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমি জরুরি কাজে সিলেট থাকায় প্রকৃত বিষয়টি এখনো জানতে পারিনি।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ সুরমানিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন- দুই শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি অনুকূলে। কলেজের প্রধান ফটকে পুলিশের অবস্থান রয়েছে।