দেশের সর্বোচ্চ ভবন নির্মাণ করছেন সিলেটের কালী প্রদীপ চৌধুরী
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ জুন ২০১৬, ৬:৫৩ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কালী প্রদীপ চৌধুরী। বাংলাদেশের সিলেটের সন্তান। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণের দত্তরাইলে জন্ম তাঁর। পড়ালেখা করেছেন সিলেটের এমসি কলেজে। তারপর কলকাতা থেকে এমবিবিএস পাস করে মালোয়েশিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক ডিগ্রি অর্জন করে শুরু করেন ব্যবসা। যুক্তরাষ্ট্রে নিজ নামে তৈরি করেন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কালী প্রদীপ চৌধুরী (কেপিসি) গ্রুপ। তাঁর এই গ্রুপ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের একটি। কালীপ্রদীপের নতুন করে আলোচনায় আসার কারণ বাংলাদেশে ১৪২ তলা বিশিষ্ট প্রস্তাবিত আইকন টাওয়ার নির্মাণ। মাতৃভূমি বাংলাদেশকে উচ্চ বিলাসী স্বপ্ন দেখাতেই তিনি সরকারকে আকাশচুম্বি এই ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করেন বলে জানা যায়। এছাড়া নিজ জন্মস্থান ঢাকা দক্ষিণে একটি বেসরকারি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার ইচ্ছা তাঁর।
জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে কেপিসি গ্রুপের চেয়ারম্যান কালীপ্রদীপ চৌধুরী ভবনটি নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে কেপিসি গ্রুপের পক্ষে অর্থমন্ত্রী ১০০ একর জায়গার ওপর মূল ভবনসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাগুলো নির্মাণের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় নভেম্বর মাসে ঢাকার অদূরে পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে সিবিডি অংশে ওই জায়গা দিতে রাজি হয়। সম্প্রতি এই টাওয়ার নির্মাণে চুক্তির জন্য বাংলাদেশে অবস্থান করছেন এই ধনকুবের।
জানা যায়, ওই টাওয়ারে আন্তর্জাতিক কনভেনশন, এক্সিবিশন সেন্টারসহ হোটেল, থিয়েটার ও শপিং মল থাকবে। টাওয়ার ঘিরে তৈরি হবে আরও কয়েকটি ছোট-বড় ভবন এবং নান্দনিক স্থাপনা। কনভেনশন সেন্টারের মূল মিলনায়তনে পাঁচ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা থাকবে। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মূল স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা হবে ৫০ হাজার। উচ্চতার দিক দিয়ে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনটি হচ্ছে দুবাইয়ের ১৬৫ তলার বুর্জ আল খলিফা। পূর্বাচলের আইকনিক টাওয়ার নির্মিত হলে তা হবে দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) দুই হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার এই ভবন ২০১৮ সালের মধ্যে নির্মাণের আশা করছে সরকার।
এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, পিপিপির আওতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। আমাদের সিলেটের ছেলে বিশ্বখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কেপিসি গ্রুপ গড়ে তুলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি বড় বড় ভবন নির্মাণ করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশে কিছু করার জন্যই তিনি আমার কাছে এই প্রকল্পের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমরা তার এই সদিচ্ছাকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চাই।