ওসমানীনগরে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলন, ইউপি চেয়ারম্যান মুছা আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা সাহেদ আহমদ মুছাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার গোয়ালাবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় ২৩ আগস্ট গোলাপগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি মামলায় সাহেদ আহমদ মুছাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিকেল ৩টার দিকে গোয়ালাবাজার থেকে সিলেট ডিবি পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসাকে আটক করে সিলেটে নিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেন ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া।
এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা সাহেদ আহমদ মুছার পদত্যাগের দাবিতে দিনভর আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে তার পদত্যগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের পক্ষে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল আসে কার্যালয়ের সামনে। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তখন উভয় পক্ষে হাতাহাতি হয়। এ সময় ওসমানীগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া, (তদন্ত ওসি) আরাফাত জাহান চৌধুরীসহ স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসার নেতৃত্বে গত ৫ আগস্ট তাদের ওপর হামলা করানো হয়। হামলার পর শেরপুর ব্রিজ বন্ধ করে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকারীদের তল্লাশি করেন। তখন তারা ব্রিজ দিয়ে না গিয়ে নৌকায় কুশিয়ারা নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি এসেছেন।
অন্যদিকে, স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা ইউপি চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করার জন্য এবং চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত না করতে দু’পক্ষই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যান মূসা ছুটি নিয়ে ইউপি সদস্য সামসুল ইসলাম শামিমকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান। সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলে তার পদত্যাগের দাবিতে ৪ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা মিছিল করে আসছে।