পলিথিন ব্যাগে সয়লাব ওসমানীনগরের বাজার
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের ওসমানীনগরের বিভিন্ন বাজার ও খুচরা দোকান গুলো বিক্রয় ও ব্যবহার নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগে সয়লাব। উপজেলার বাজার গুলোতে প্রতিদিন লক্ষ টাকার পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ হয় বলে সূত্রে জানা গেছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইদানীং ফার্মেসি গুলোতেও পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। পলিথিন ব্যাগ ক্রয়-বিক্রয়ের বিরুদ্ধে আইন থাকলেও এক্ষেত্রে প্রয়োগ সামান্যই। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা পলিথিন আমদানি করছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওসমানীনগরের গোয়ালা বাজার, তাজপুর বাজার, দয়ামীর, বুরুঙ্গা বাজার, সাদীপুর বাজার, শেরপুর নতুন বাজার, উমরপুর বাজার, খাদিমপুর বাজার, কলারাই বাজার, হাজীপুর বাজার ও কুরুয়া বাজারের দোকান গুলোতে পলিথিনের শপিং ব্যাগ বিক্রি হচ্ছে। দোকানীরা ক্রেতাদের হাতে এসব ব্যাগ ধরিয়ে দিচ্ছেন। ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ও তাজপুর বাজার হচ্ছে পলিথিন ব্যবসার অন্যতম স্থান। তাজপুর বাজারে পলিথিন ব্যবসার পাইকারী দোকান রয়েছে। গোয়ালাবাজারে রয়েছে পলিথিন ব্যবসার ডিলার। এখান থেকে বেশ কয়েকজন হকার ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার বাজার গুলোতে পলিথিন বিক্রি করছেন। এছাড়া গোয়ালাবাজারে আরো কয়েকজন এ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন বলে জানা গেছে। ওসমানীনগরের শেরপুর নতুন বাজার, গোয়ালাবাজার ও তাজপুর বাজারে পলিথিন মজুদ রাখার কয়েকটি গুদাম রয়েছে। গুদামে রাখা এসব পলিথিন বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ্য পলিথিন ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে মাসোহারা দিয়েই এ ব্যবসা করছেন বলে জানান কয়েকজন পলিথিন বিক্রেতা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ভাবে কোনো অভিযান চোখে পড়েনি ব্যবসায়ীরা এখনো দেদারসে পলিথিন ক্রয়-বিক্রয় করে আসছেন।
ওসমানীনগর উপজেলার ব্যবসায়ীরা বলেন, কাগজ বা পাটের ব্যাগ নিতে ক্রেতারা আগ্রহী নয়। তাই বাধ্য হয়েই দোকানে পলিথিন ব্যাগ রাখতে হয়।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোনায়েম মিয়া বলেন, পলিথিন বিক্রির বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপমা দাশ বলেন, এ বিষয়ে অবশ্যই অভিযান পরিচালনা করা হবে।