মৌলভীবাজারে শিশু ধর্ষণ ও অন্ত:সত্তা নারী গণধর্ষনের শিকার, আসামী অধরা!
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২১, ৭:২৬ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজারে পৃথক ঘটনায় এক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ ও অন্ত:সত্তা গৃহবধু গণধর্ষনের শিকারের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষিতা এই ২ জনকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সুত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের জসমতপুর গ্রামের ১৩ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে পাশের বাড়ীর এক যুবক ঘরে ঢুকে ধর্ষন করে। ঘটনাটি ঘটে ১৬ জানুয়ারি শনিবার দূপুরে। এ সময় শিশুটির মা ও বাবা ঘরে ছিলেননা। এঘটনার পর স্থানীয়রা চিকিৎসা ও সমঝোতার আশ্বাস দিয়ে কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য জানায়। পরে প্রতিবন্ধী শিশুর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে ৪দিন পর বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিশুর মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ১৩ বছর ধরে অনেক কষ্ঠ করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে বাচ্চাদের লালন-পালন করছি। কিন্তু কেন যে আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের সাথে এমন করলো তার দৃষ্ঠান্ত মূলক বিচার চাই। তিনি বলেন, সরকার থেকে আমার মেয়েটি প্রতিবন্ধী ভাতাও পাচ্ছে।
অপরদিকে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার গুজারাই গ্রামের মছব্বির মিয়ার বস্তিতে মধ্যরাতে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে ৩ মাসের অন্ত:সত্তা এক গৃহবধুকে ৪ জন মিলে গণধর্ষন করে। এসময় তার স্বামী সিএনজি চালক জুবেদ মিয়া ঘরে ছিলেননা। অন্ত:স্বত্বা গৃহবধূ বলেন, রাত ১ টার দিকে প্রথমে ঘরে এসে ডাকাডাকি করে, দরজা খুলে না দেয়াতে চলে যায়। পরে রাত ৩ ঘটিকার সময় দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। তিনি তিন মাসের অন্ত:স্বত্তা ছিলেন বলেও জানান। তিনি দোষিদের শাস্তির দাবী করেন।
ধর্ষিতার স্বামী বলেন, তিনি সিএনজি চালান। তার দুই সংসার রয়েছে। এটি তার দ্বিতীয় সংসার। ঘটনার দিনে রাতে তিনি কলোনীর বাসায় না ফিরে নিজ বাড়িতে ছিলেন। রাত ৪ টার দিকে ফোন পেয়ে বাসায় এসে লোকের কাছ থেকে ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে এসব শুনেছে। সে তার স্ত্রীর সাথে পাশবিক নির্যাতন কারীদের বিচার দাবী করেন।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল তত্বাবধায়ক, ডাঃ পার্থ সারথী দত্ত কানুনগো জানান, দু’জনই সেক্সুয়াল এসল্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের একটি মেডিকেল টিম চিকিৎসা দিচ্ছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মোঃ ইয়াছিনুল হক ও কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এখনও কেউ এবিষয়ে অভিযোগ করেননি।