এমসি কলেজে গণধর্ষণ : কানাইঘাটের মাহফুজের শাস্তি চান বাবাও
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণ মামলার আসামি মাহফুজুর রহমানের (২৫) বাবা সালিক আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কানাইঘাট থানা পুলিশ। রোববার ভোরে থানায় নিয়ে এসে সালিক আহমদকে ছেলের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
এমসি কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজের বাবা কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্তরত রয়েছেন। তবে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউপির লামা দলইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালিক আহমদ ছেলের ব্যাপারে কোন তথ্য দিতে পারেননি।
সরকারি চাকুরিজীবি সালিক আহমদ তার ছেলে মাহফুজুরের কোন সন্ধান জানেন না বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। একই সাথে তার ছেলে গণধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে প্রচলিত আইনে তার বিচার চেয়েছেন।
এদিকে গণধর্ষণের ঘটনার আসামি মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে ঘটনার পর থেকে তার নিজ এলাকা কানাইঘাটের বিভিন্ন স্থানে থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএমের নেতৃত্বে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কানাইঘাটের সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতে করে মাহফুজুর রহমান ভারতে যেতে না পারে, সেজন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা এসেছে। সেই আলোকে সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন পিপিএম স্যারের নির্দেশে সিলেট জেলার অধীনস্থ সকল থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। যেহেতু এ মামলার একজন এজাহারভুক্ত আসামি মাহফুজুর রহমানের বাড়ি কানাইঘাট। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। সীমান্ত এলাকায় পুলিশ তৎপর রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাহফুজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের সহযোগিতার জন্য তার পিতা সালিক আহমদকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টার দিকে সিলেট এমসি কলেজের হোস্টেলে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। অভিযুক্ত এসব কর্মীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক রণজিৎ সরকারের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরাণ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিত ওই তরুণীর স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
ইতোমধ্য মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানসহ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হল, বালাগঞ্জ উপজেলার চান্দাই পাড়া গ্রামের বাসিন্দা তাহমিদ মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম গ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর, হবিগঞ্জ সদর থানার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি এবং সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন বড়নগদীপুর (জাগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫)।