শ্রীমঙ্গলে ভাড়া দিতে না পারায় সন্তান নিয়ে রাস্তায় এক মা, ঘরে তুলে দিলেন পুলিশ অফিসার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২০, ১:৫৮ অপরাহ্ণ
তোফায়েল পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বুধবার (১৩মে) দিবাগত ১২টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানার সম্মুখে দোকানের সামনে সন্তানাদি নিয়ে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় অঙ্গীকার সামাজিক ও সাহিত্যিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারোয়ার জাহান জুয়েল ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি সৈয়দ আবুজাফর সালাউদ্দিন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মহিলার অবস্থাটি ছবি ও ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন। পরে বিষয়ট মুহুর্তেই আরও বেশ কয়েকটি ফেইসবুক আইডিতে ছড়িয়ে পরে।
সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকের মাধ্যমে এমন ঘটনার খবর পেয়ে মৌলভীবাজার পুলিশ প্রশাসনের শ্রীমঙ্গল – কমলগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান মহিলা ও তার সন্তানদের থানায় নিয়ে স্থান দেন। পরে রাত ৪টার দিকে শাপলাবাগ কলোনিতে নিয়ে পৌছে দিয়ে আসেন। ওনার এই হস্তক্ষেপ বিভিন্ন মহলে প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে।
মহিলার ভাষ্যমত ছিলো,
৭০০টাকা বাসা ভাড়া, আড়াই মাসের ভাড়া বকেয়া ছিলো, বাসার মালিক ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে, কষ্ট করে ১মাসের ভাড়া পরিশোধ করে দেয়। বর্তমানে দেড় মাসের ভাড়া বকেয়া আছে। এই দেড় মাসের বাসা ভাড়ার জন্য শহরের শাপলাবাগ এলাকায় রুবেল মিয়ার কলোনি বাসার মালিক রুবেল মিয়া এই মহিলাকে নানান ধরনের কথাবার্তা বলছিলো শেষ পর্যন্ত এই মহিলাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে। এমনটি জানান ছবিতে দেখা মহিলাটি।
কলোনির মালিক রুবেল মিয়ার সাথে মুঠোফোনে আলাপ হলে তিনি জানায়, এই মহিলা এপ্রিল মাসের ২০ তারিখ তার কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে থাকার একটি রুম দেয়ার জন্য, পরে তার কলোনির একটি রুম ভাড়া দেয় যার ভাড়া তিনি ১ হাজার টাকা নিতেন, মহিলাটি কান্নাকাটি করে বলে এতো টাকা বর্তমানে ভাড়া দিতে পারবে না, করোনাভাইরাস শেষ হলে পরো ভাড়া দিবে। পরে রুবেল মিয়া আপাদত ৭০০ টাকা ভাড়া নেয়। বর্তমানে ওই মহিলার বকেয়া কোন ভাড়া নেই।
তিনি আরও বলেন, এই মহিলা গত কয়েকদিন আগে আরও একটি বিয়ে করেছে, বিয়ের কয়েক দিন পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়, তা জে আর পি থানা পুলিশ সমাধান করে দেয়, এর কিছু দিন পর থেকেই এই মহিলাকে রুবেল মিয়া খুজে পাচ্ছেন না। ওনার ধারনা ছিলো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শেষ হওয়ার পর হয়তো বা অন্য কোথাও গিয়েছে।