‘সাগর সীমান্তে : (খন্ড ১)
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০২০, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
সাজিদ মোহাম্মদ:
একদিন কবি জাফরের ফোন পেলাম। সাগর রেডি হ তোকে নিয়ে এক জাগায় যাবো। দিনটি ছিলো শুক্রবার নামাজ শেষ হতেই কবি জাফর হাজির। ঘরে নিয়ে গেলাম। রুমে বসিয়ে বাসার ছাদে ওঠে ডাব পেড়ে কেটে দিলাম, ডাবের জল কার না প্রিয়। খুব আনন্দের সাথে পান করলেন ডাবজল। লাঞ্চ টাইমে দাদি, মা তারা লাঞ্চ না করিয়ে ছাড়বেন না। লাঞ্চ শেষ, গাড়িতে করে ছুটলেন সেই গন্তব্যে। আব্দুল্লাপুর, এক ভদ্রলোক মাত্র কিছুদিন হলো বিদেশ ফেরত। কবি জাফরের বেশ পরিচিত। হয়তো খুব ছোটবেলা থেকেই জানাশুনা দুজনের। পরে সেটি বুঝেছিলাম।হৃদয় এসে আমাদের রিসিভ করে ঘরের ভেতর নিয়ে গেলেন। বিশাল বাড়ি, কাজ চলছে ঘরের ভেতর। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার দুপুরের খাবার চলে আসলো, না- খেয়ে এসেছি কোনভাবে বুঝালেন। তারপরও চা নাস্তা চললো। কিছুক্ষণ হলো গল্প চলছে দেশে বিদেশের। পুরাতন দিনের নানা স্মৃতির। হৃদয় এর মধ্যে ফোনে কয়েকটি পিকচার দেখালেন। বিয়ে করার জন্য দেশে এসেছেন,বিয়ে করবেন। বিয়ের জন্য পাত্রি খোঁজছেন। কবি জাফর হাতে নিয়ে ছবিগুলি দেখলেন। না,আমাকে দেখালেন না। ফোনটা ফেরত দিলেন আর বললেন তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই বুঝে শুনে বিয়ে ঠিক করো। পাত্রী পছন্দ আমার শুধু সুন্দর হলেই চলবে না,গুন দেখো।
চলো বাড়ির আশপাশটা দেখি, এখানে আসার উদ্দেশ্যটাই বাড়ি দেখা। ছাদে গেলাম বাড়ির চারপাশ দেখছি। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে,আমরা বেরুব বলে বিদায় নিলাম।
গাড়ি চলছে। আর জাফর আমাকে কে প্রশ্ন করলেন তোর কেমন চলছে?
-এই ত ভাই। আপনাদের দোয়ায় যাচ্ছে।
-ভালো।
প্রতিদিন কথা হয়?
-হ্যাঁ ভাই। আজ সকালে ভিডিও কলে কথা হলো। সীমানা অনেক ভালোবাসে আমাকে। একদিনও কথা না বলে থাকতে পারে না।
-সুন্দর ভাবে চললেই ভালো । বললেন তোর কাজ না থাকলে চল আমার বাসায় রাতে কিছু কাজ আছে। সাথে গেলাম রাতের ডিনার শেষ করে চা পান করতে করতে বললেন কিছু সিরিয়াস কথা বলবো তোর সাথে। আব্দুল্লাপুর সাগরের ফোনে যে মেয়েগুলির ছবি দেখেছি তার মধ্যে সীমানার ছবিও ছিলো।
-ভাই ডঙ করবেন না।
সত্যিরে বিষয়টা। ভয় করছে কারণ, সব মেয়েদের মধ্যে সীমানা দেখার মতো, যে কেউ বউ করতে পাগল হবে৷
তখন আমার হার্টবির্ট বেড়ে গেল…(চলবে)