শ্রীমঙ্গলে র্যাবের অভিযান : আদার মূল্য বেশী রাখায় ব্যবসায়ীকে জরিমানা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ এপ্রিল ২০২০, ২:১৫ অপরাহ্ণ
তোফায়েল পাপ্পু, শ্রীমঙ্গল:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে করোনা ভাইরাস ও রমজানকে সামনে রেখে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ভোক্তাদের নিকট বেশী দামে পণ্য বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল। দ্রব্যমূল্যের বেশী দাম রাখায় অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের সদস্যরা ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে শহরের সেন্ট্রাল রোডের বিভিন্ন পাইকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নজরদারী শুরু করে। এক পর্যায়ে সেন্ট্রাল রোডের প্রাণ গোপাল বাণিজ্যালয়ে যান আদা কিনতে। খবর ছিল এই প্রতিষ্ঠানে ১শ’ টাকার আদা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজিতে। দূরে প্রস্তুত ছিলেন র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন শামিমের নেতৃত্বে অন্যান্য র্যাব সদস্যরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের নির্দেশনায় এই অভিযানে যোগ দেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আল আমিন। ছদ্মবেশী র্যাব সদস্যদের সংকেত পেয়ে দোকানে ততক্ষণে পৌঁছে যান কমান্ডার আনোয়ার হোসেন ও অন্যরা। হাতে নাতে চাক্ষুস ঘটনার ব্যাপারে র্যাব কমান্ডার ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২শ’ ৫০ টাকা কেজি দামে আদা বিক্রয়ের কারণ জানতে চাইলে দোকানি জানান, ঢাকা থেকে বেশী দামে আদা কেনার কারনে বেশী হচ্ছে। তাৎক্ষনাত আনোয়ার হোসেন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোবাইল নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ করেন ঢাকার ব্যবসায়ীর সাথে। এসময় ঢাকার ব্যবসায়ী র্যাব কমান্ডারকে জানান প্রতি কেজি দেড়’শ টাকার কম মূল্যে তিনি আদা বিক্রয় করেছেন। দেড়’শ টাকার বেশী তিনি বিক্রয় করার কথা নয়।
এসময় বেশী মূল্যে আদা বিক্রয় করার অপরাধে প্রান গোপাল বানিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী শুভ ভট্রাচার্যকে ভোক্তা অধিকার আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঢাকার পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি আদার মূল্য ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দিয়ে কিনে আনছেন। শুধু আদা নয় পেঁয়াজ,রসুনসহ অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী ক্রয় মূল্যের চেয়ে ব্যবসায়ীরা অধিক মূল্যে বিক্রিয় করছেন বলে ভোক্তারা অভিযোগ করেছেন। ভোক্তারা দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে প্রশাসনের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।
অভিযান কালে শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এএসএম ইয়াহিয়া ও সাধারণ স¤পাদক হাজী কামাল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে র্যাব কমান্ডার আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ব্যবসায়ীদের আরও সহনশীল আচরণ করা উচিত। কেজি প্রতি ৫/১০ টাকা মুনাফা করেন। কিন্তু এত মুনাফা করে বেশী দামে পণ্য বিক্রি করা হলে তা সহ্য করা হবে না বলে হুশিয়ারী দেন। তিনি আরও জানান এখন থেকে বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপরে র্যাব সদস্য সার্বক্ষনিক নজরদারিতে থাকবে।