কুলাউড়ার কাউকাপন বাজারের সিংহভাগ হারিয়ে গেছে নদীভাঙ্গনে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ আগস্ট ২০১৯, ৭:০২ অপরাহ্ণ
স্বপন দেব, মৌলভীবাজার :
পাউবো’র প্রকল্প আলোর মুখ দেখার আগেই কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের শতবর্ষীয় কাউকাপন বাজারের সিংহভাগ বিলীন হলো মনু নদীতে। প্রকল্প গ্রহণের একবছর অতিবাহিত হওয়ার পরও কাজ শুরু না হওয়ায় চলতি বন্যায় বাজারটির শতভাগ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। হলোও তাই। আশঙ্কা কারা হচ্ছে, আগামীতে হয়তো কাউকাপন বাজারের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১৮ সালের ১৫ জুন কাউকাপন বাজারের প্রায় ৫০ ফুট জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ৩৬টি দোকান সম্পুর্নরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভাঙন শুরু হওয়ার পর ব্যবসায়ীরা মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। বেশির ভাগ মালামাল নদীর স্রোতে ভেসে যায়। ৩৬টি দোকানে ব্যবষায়ীদের মোট ক্ষয়ক্ষতির কোটি টাকার অধিক ছিলো।
ভাঙনের পর ২০১৮ সালের ২৪ জুন সরেজমিন কুলাউড়া থেকে নির্বাচিত তৎকালীন এমপি আব্দুল মতিন, পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ ও মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র চক্রবর্তী কাউকাপন বাজারে মনু নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শণ করেন।
সে সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় এমপি কাউকাপন বাজার রক্ষায় একটি আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিশ্রতি দেন এমপি ও পাউবোর কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে প্রায় একবছর সময় অতিবাহিত হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে কোন উদ্যোগ নেই।
কাউকাপন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পরিমল চন্দ্র দে, সেক্রেটারি মখলিছুর রহমান, ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম জানান, দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী মিলে ৮৭ জন পথে বসেছেন। এরমধ্যে ৪০ জন দোকান মালিক ভিটেমাটি হারিয়েছেন। তাছাড়া রাস্তাও বেশির ভাগ অংশ ধ্বসে পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বা”চু জানান, দোকানপাটের সাথে রাস্তাও গেছে নদীর পেটে। এরফলে কুনিমোরা টু তারাপাশা যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই রাস্তাটি বাইপাস হিসেবে ব্যবহার করে কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলার ৮-১০টি ইউনিয়নের মানুষ বাইপাস মৌলভীবাজার ও সিলেট যাতায়াত করতেন। এছাড়া হাসিপুর এলাকায় ভাঙনের ফলে কাটারকোনা থেকে মনু স্টেশন পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র চক্রবর্তী জানান, আমি প্রকল্পের কাজে ঢাকায় আছি। বাজারের ভাঙন এলাকায় জরুরি কাজ চলছে। মুল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাঁধ নির্মাণ করে ব্লক দিয়ে মেরামত করে দেয়া হবে।