সিলেট শহর ও শহরতলীতে বসছে ৭ পশুর হাট
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ আগস্ট ২০১৯, ৫:০৬ অপরাহ্ণ
রাজু আহমেদ :
এবার পশুর হাট থাকবে কঠোর নজরদারীতে। বিক্রেতারা ও ক্রেতাদের নিশ্চিন্তে পশু ক্রয় বিক্রয়ের চিন্তা মাথায় নিয়ে এবার সিলেটে হাট মনিটরিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস, সিলেট সিটি কর্পোরেশন আর বাংলাদেশ ব্যাংক যৌথভাবে টিম গঠন করেছে। আসন্ন পবিত্র ঈদু-উল- আযহা উপলক্ষে সিলেটের কোরবানির পশুর হাট নিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।
অন্যদিকে, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়ার আশংকায় পশুর হাটের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখারও তাগিদ দিয়েছেন তারা। আর সিলেট সিটি কর্পোরেশন জানিয়েছে, কোরবানির পশু জবাইয়ের কারণে যাতে নগরীতে কোন প্রকার জীবাণু বা কীটনাশক ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে সতর্ক নজরদারি থাকবে তাদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী পশুর হাটসহ মহানগরীতে চারটি পশুর হাট বসবে। এ গুলো হচ্ছে কাজিরবাজার, লালদীঘি হকার্স মার্কেট সংলগ্ন খালি জায়গা এবং টিলাগড় পয়েন্ট সংলগ্ন খালি জায়গা। এ ছাড়া সিলেট সদর উপজেলা খেলার মাঠ, লাক্কাতুরা মাঠ আর কুমারগাঁও এলাকায় আরো তিনটি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানো হবে। আগামী ৮ আগস্ট থেকে ঈদের দিন পর্যন্ত এসব পশুর হাটে কোরবানির পশু গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ক্রয় বিক্রয় করা হবে। নির্ধারিত জায়গা ব্যতিত অন্য কোথাও কেউ পশুর হাট বসাতে পারবেননা।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গবাদি পশুর উৎপাদন গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে। যার ফলে গত চার পাঁচ বছর থেকে গরুর আমদানি নির্ভরতা কমেছে ৯৫ শতাংশ। দেশের গরু খামারিরা যাতে তাদের ন্যায্য দাম পান এ জন্যে ঈদ পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা দিয়ে সব ধরণের বৈধ অবৈধ গবাদি পশুর অনুপ্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের হিসেব অনুযায়ী পশু কোরবানির ক্ষেত্রে এ বছর গরুর চাহিদা ও উৎপাদন প্রায় সমপর্যায়ে। সারা দেশের বিভিন্ন গরুর খামার থেকে সিলেটের বাজারে পশু নিয়ে আসবেন খামারিরা। এসব পশুর শরীরে কোন প্রকার ক্ষতিকারক ষ্টেরয়েড (মোটা তাজাকরণ ট্যাবলেট) আছে কিনা তা দেখার জন্যে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। সিলেট সিটি কর্পেরেশন এলাকায় তিনটি এবং জেলার প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি করে টিম এ দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া কোরবানির পশুর হাটে জাল টাকার ছড়াছড়ি বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটরিং টিম কাজ করবে। আর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন তাদের অস্থায়ী পশুর হাট গুলোতে সার্বক্ষণিক লোক নিয়োগ রাখবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, সিলেটের সবকটি কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে যাবতীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিলেটে তারা কৃত্রিমপন্থায় গরু মোটাতাজাকরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। গবাদি পশুর শরীরে কোন প্রকার ষ্টেরয়েড, হরমোন ইনজেকশন,পাম ট্যালেট ও ইউরিয়া সারের প্রয়োগ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন ক্রেতারা। এ জন্যে বড় হাট গুলোতে ষ্টেন্ডবাই মেডিকেল টিম থাকবে। এছাড়াও কেউ পশুর শরীরে কোন প্রকার কীটনাশক আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অফিস অথবা পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করতে পারবেন। সূত্র – জালালাবাদ