ঈদে সিলেট নগরীর ৩৬টি স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ আগস্ট ২০১৯, ৮:৫২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ :
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কুরবানীর জন্য নগরবাসীকে স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে সিসিক। মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিলেট সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ বদরুল হক এ তথ্য জানিয়ে সবাইকে নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করার আহবান জানান।
জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত ইমাম-মুয়াজ্জিনদের নিয়ে সিসিকের মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহবান জানান।
সভায় নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং এ বিষয়ে জনগণকে উৎসাহিত করতে মসজিদ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের প্রতি আহবানও জানান তিনি।
সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ, ইসলামী ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন আহমদ ও ইমাম সমিতি সিলেটের সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব।
সিসিকের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাসের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয় আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় সিলেট মহানগরীর নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে। এ লক্ষে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করতে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধকরণ সহ লিফলেট বিতরণ, মাইকিং ও বিভিন্ন ভাবে প্রচারণারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সভায় সচিব আরো বলেন, নগরীতে যততত্র পশু কোরবানি দেওয়া হলে নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে দ্রুততার সাথে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা যায় না। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকারি নির্দেশনার আলোকে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। আর এর প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছেন মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনগন।
সভায় নগরীর পাড়া-মহল্লার সকল মসজিদগুতে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণ বয়ান পেশের মাধ্যমে এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি। এছাড়া সিসিকের প্রত্যেক ওয়াডের্র কাউন্সিলররা নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণার ব্যাপারে ভূমিকা রাখবেন বলেও জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নগরীর বিভিন্ন মসজিদের প্রায় দুই শতাধিক ইমাম ও মোয়াজ্জিনগন উপস্থিত ছিলেন।