কুলাউড়া ট্রেন দুর্ঘটনা : ‘নিজে বাঁচলেও দু’জনের মৃত্যু দেখেছি’
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুন ২০১৯, ৪:০৯ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
‘আমি শুধু শব্দ শুনেছি। পরে দেখি সবাই আমার উপরে পড়েছে। আমার ছেলের বুকের উপর অনেকেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আমার চোখের সামনে দু’জনের মৃত্যু দেখিছি।’
এমনটাই বলছিলেন ময়মনসিংহের হারুনুর রশিদ। তিনি ট্রেনের উল্টে যাওয়া বগিতে ছিলেন। বিয়ানীবাজার এলাকায় স্ব-পরিবারে থাকেন তিনি। ৪ বছর পর নিজের গ্রামের বাড়ীতে ফিরছেন ট্রেন যুগে। তবে, দুর্ভাগা হারুন নিজ এলাকায় পৌছার আগেই দুর্ঘটনায় শিকার হলেন তারা।
ট্রেনের আরেক যাত্রী নুরুল ইসলাম জানন, খাদে ছিটকে পড়া বগিতে ছিলাম। একটুর জন্য প্রাণ রক্ষা হয়েছে আমার। আমার পাশে একটি শিশু নিচে পড়েছে। জানি না কি হয়েছে তার।
তিনি বলেন, ৭০-৮০ জন মানুষ ছিলো আমাদের বগিতে।
রোববার (২৩ জুন) মধ্যরাত ১২টার দিকে কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশনের পাশে ঢাকাগামী উপবনের বগি ছিটকে পড়ে। রাতে সিলেট স্টেশন থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য ওই ট্রেনটি ছেড়ে যায়।
এর ফলে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সেতু ভেঙে পড়ায় সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগও পাঁচ দিন ধরে প্রায় বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম ও পুলিশ সুপার শাহ জালাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন নারী ও বকি চারজন পুরুষ। আহতের সংখ্যা শতাধিক। অনেকে এম্বুলেন্স সিএনজিসহ যে যেভাবে পারছে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছেছে। হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছে দমকল বাহিনীর ১২টি ইউনিট। পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে।