ইউরোপে পাড়ি জমাতে ইমরান এখন মাল্টার মর্গে!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মে ২০১৯, ১২:০৭ অপরাহ্ণ
সুমরা নিউজ ডেস্ক :
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার মুলফৎগঞ্জ ইউনিয়নের কেদারপুর গ্রামের মান্নান খানের ছেলে ইমরান খান ওরফে সুজন। ২০১৮ সালে ১৬ আগস্ট অসাধু দালালদের প্রলোভনে ৮৪ জন অবৈধ দেশি ও বিদেশি সঙ্গী নিয়ে ইমরান খানও পাড়ি জমায় ভূমধ্যসাগরের বুকে।
সেই উত্তাল ও ভয়ংকর সাগরের বুকে ৮৪ জন লোক ছোট একটি প্লাস্টিকের নৌকায় ৩/৪ দিন ভাসতে থাকে। ছিল না প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি। মিলছে না কোনো শেষ ঠিকানা। জীবন যুদ্ধ যেন এখানেই শেষ।
ইমরানের খানের পানির পিপাসা এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। ২১ আগস্ট তার বন্ধুদের কোলে ঠিকানাহীন সেই সাগরের বুকে জীবন যুদ্ধে হেরে যায়, একটি অসমাপ্ত ফুটন্ত জীবন।
দিনের শেষে ভাসতে ভাসতে অজানা সাগরের ঠিকানায় মাল্টার কোস্ট গার্ডের কাছে ঠাঁই মেলে।
জীবিতদের ইউরোপিয়ান আইনে আশ্রম কেন্দ্রে রাখা হয়। মৃত ইমরানকে মাল্টার সরকারি মর্গে (কাস্টডি) রাখা হয়।
কিছুদিন পরে বিষয়টি মাল্টায় বসবাসরত কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের নজরে আসে। প্রবাসি বাংলাদেশি মসিয়ার রহমানের নেতৃত্বে দেশে তার স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারা মৃত ইমরান খানের মরদেহ গ্রহণ করতে চায়নি- টাকা খরচ হবে বলে।
কিছুদিন আগে মাল্টায় আওয়ামী লীগের কমিটি নির্বাচিত হয়। সভাপতি মশিয়ার রহমান সভাপতি নির্বাচিত হলে ইমরান খানের বিষয়টি ফের আলোচনায় আনেন।
নবনির্বাচিত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, ইমরান খানের মরদেহ দেশে পাঠাতে ৬/৭ লক্ষ টাকা খরচ হবে। তারা যেকেনো ভাবেই ইমরান খানের মরদেহ দেশে পাঠাবেন।
জানা গেছে, সকল প্রক্রিয়া শেষ করেই এই মাসেই ইমরান খানের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হবে।
মাল্টা আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, বাংলাদেশি দূতাবাস না থাকায় না ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমরা আশা করি ভোগান্তি দূর করতে সরকার পদক্ষেপ নেবে।