ওসমানীনগরে বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ : মামলা দায়ের,ধর্ষণকারী গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ আগস্ট ২০১৭, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:সিলেটের ওসমানীনগরে বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রী একাধিক বার ধর্ষণ করেছে ঐ ছাত্রীরই আত্মীয় মুন্ন মিয়া(২০)নাামের এক যুবক। ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির দক্ষিণ কলারাই গ্রামের বাসিন্দা ও গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। সে চলতি বছর জেএসসি পরীক্ষার্থীয় অংশ গ্রহণ করবে।
এই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ক্ষান্ত হয়নি মুন্না মিয়া শেষ পর্যন্ত তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা দিয়ে অপহরণ করে তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউপির গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তায়। এ ঘটনায় ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ এনে ধর্ষণকারী মুন্নাকে প্রধান আসামী করে তিনজনের নাম উল্লেখ ও আজ্ঞাতনামা আরো দুজন সহ ৫ জনকে আসামী করে গত রোববার সন্ধায় ওসমানীনগর থানায় একটি (মামলা নং-১৩) দায়ের করেন। এ ঘটনার মূলহোতা মুন্না মিয়াকে পুলিশ আটক করেছে। আটককৃত মুন্না মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সমশেরনগর চাঁদপুর গ্রামের মৃত কাদির মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহার ও স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানাযায়, ধর্ষণকারী মামলার এজহারভুক্ত প্রথম ও দ্বিতীয় আসামী মুন্না ও রুমেল তাদের আত্মীয়তার সূত্রে এই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে প্রায়ই আসতো মুন্না। বাড়িতে আসা যাওয়ার সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মুন্নার সাথে ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে। এক পর্যায়ে এই ছাত্রী মুন্নার প্রলোভনের ফাঁদে পরে তার সাথে প্রেমের সর্ম্পকে জড়িয়ে পরে। এর সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত কয়েক মাস থেকে একাধিক বার মৌলভীবাজার শহর সহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে একাধিক বার তাকে ধর্ষণ করে মুন্না। ঘটনাটি মুন্না পরিবারের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে মুন্নার পরিবারের লোকজন এই ছাত্রীর পরিবারের সাথে সর্ম্পক ভেঙ্গে দিতে ছাত্রীর পরিবারের লোকজনকে নানা ভাবে হুমকি দামকি সহ চাপ দিতে থাকে। এ অবস্থায় মুন্নাও ছাত্রীর সাথে যোগাযোগ কমিয়ে ফেলে। গত ২ আগষ্ট নির্যাতিত ছাত্রী বিদ্যালয় ছুটির পর বাড়ি যাবার জন্য গোয়ালাবাজার স্কুল রোড থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাাকা মুন্নার ভাই রুমেল ও তার তিন চারজন সহযোগী সিএনজিটিকে কলারাইয়ের দিকে যেতে না দিয়ে অপহরণের উদ্যোশে সিলেট শহরের দিকে নিয়ে যায়। উপজেলার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের তালেরতল নামকস্থানে অটোরিকশা একটু গতি কমালে নির্যাতিন ছাত্রী অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে রাস্তার পাশের এক বাসাতে আশ্রয় নেই। খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা পুলিশ এই ছাত্রীকে উদ্ধার থানায় নিয়ে আসে এবং ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ২ আগষ্ট রাতে মৌলভীবাজার থেকে মুন্নাকে আটক করে ৫৪ ধারায় আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। গত রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন মদন আইনে নির্যাততা ছাত্রী বাদী হয়ে মামলা করার পর ওসমানীনগর থানা পুলিশ আটককৃত মুন্নাকে এই মামলার শোনএরেষ্ট দেখিয়ে আদালতে মামলার নথি তাখিল করে।
ওসমানীনগর থানার ওসি সহিদ উল্যা ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার প্রধান আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।