নবীগঞ্জে উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার বিহীন স্বাস্থ্যসেবা : রোগীদের চরম দুর্ভোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ আগস্ট ২০১৭, ৮:১২ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘদিন যাবত ডাক্তার বিহীন হয়ে পড়েছে। যার কারণে এলাকার অসহায়, গরীব রোগীরা চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, গত বছর ইনাতগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা: জাহাঙ্গীর আলমের নানা অনিয়ম, কর্তব্য কাজে অবহেলা, গাফিলতির কারনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন ইনাতগঞ্জের মানুষ। এরপর ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডা: জাহাঙ্গীর আলমকে কর্তৃপক্ষ বদলি করার পর তিনি দিরাই উপজেলায় চলে যান। কিছু দিন পর আবার দেখা যায় তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা- পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এর দীর্ঘদিন পর ইনাতগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ডা: চম্পক কিশোর সুমনকে সপ্তাহে ৬ দিন অফিস করার শর্তে নিয়োগ দেয়া হয়। ডা: চম্পক কিশোর প্রায় সময় অনুপস্থিত থাকার কারনে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত শত শত গরীব- অসহায় রোগীদের আর্তনাদ চলতে থাকে। নিরুপায় হয়ে ইনাতগঞ্জ- উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী চিকিৎসক ডা: গৌরাপদ দাস অতীব কষ্টে দিয়ে কোন ভাবে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত মে মাসে দুই মাসের ছুটি নিয়ে ডা: চম্পক কিশোর ট্রেনিং এ চলে যান। এর এক সপ্তাহ পর ডা: গৌরাপদ দাসকেও সিলেট বদলী করা হয়। যার জন্য ইনাতগঞ্জ- উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ডাক্তার শুন্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনের লালিত ঐতিহ্যবাহী ইনাতগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রেটি ইনাতগঞ্জ- ইউপি, দিঘলবাক ইউপি, পূর্ব বড ভাকৈর ইউপি ও ইনাতগঞ্জের পার্শবর্তী জগন্নাথ পুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউপির লক্ষাধিক জনসাধারণের একমাত্র ভরসাস্থল এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। এদিকে নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে ডা: ইদ্রিস আলীকে ইনাতগঞ্জে সপ্তাহে দুইদিন অফিস করার শর্তে নিয়োগ দিলেও তিনি সঠিক সময় উপস্থিত হননি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। ডাক্তারদের অবহেলার কারণে গরীব অসহায় রোগী সাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ইনাগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিতারিত বর্তমান নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ডা: জাহাঙ্গীর আলমকে দায়ী করছেন। ডা: জাহাঙ্গীর প্রতি সপ্তাহে একদিন ইনাতগঞ্জে এখনও প্রাইভেট বাণিজ্যে বা প্রাইভেট চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দীর্ঘ ২০ বছর যাবত ফার্মাসিস্ট পদটি শুন্য রয়েছে। ফার্মাসিস্টে পদে কোন লোক না থাকায় সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার মূল্যবান ঔষধ সঠিক ভাবে বিতরন না কারার কারনে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষের সাধারন মানুষ। সরকার চিকিৎসা খাতে বিশাল অংকের বাজেট এবং ডাক্তারদের মোটা অংকের বেতন দিলেও ডাক্তারদের চিকিৎসা বাণিজ্যের কারনে মূল লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে। অনতিবিলম্বে ইনাতগঞ্জ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রর সার্বিক সমস্যা সমাধান করে হাজার হাজার গরীব- জনসাধারণের দুঃখ দুর্দশা নিরসনের জন্য সচেতন এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্য মন্ত্রী, মাননীয় সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।