ওসমানীনগরে ভবন নির্মাণে অনিয়ম : প্রকৌশলীসহ ১৩জনকে আসামী করে দুদকে অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের ওসমানীনগরে নির্মানাধীন কলেজ ভবনে বিভিন্ন পিলার ও লিন্টেলে রড ব্যবহার না করার ঘটনায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী ও ঠিকাদারসহ ১৩জনকে অভিযুক্ত করে দূর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আজ রবিবার কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল মুকিত আজাদ দুদকের সিলেটের উপ পরিচালক বরাবরে এই অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পুষ্পা কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী রাখাল দেব, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার ঠিকাদার শাহ আলম কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী শাহ আলম এবং তার সহযোগী লোকমান ও পংকিসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের ৪ তলা ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে গত শনিবার স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি ইয়াহইয়া চৌধুরী সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এসময় ভবনের নিচতলার বিভিন্ন পিলার ও লিন্ডেল ভেঙ্গে দেখা যায় বাইরে রডের মাথা বের করা থাকলেও ভিতরে কোন রড নেই। এছাড়া লিন্টেলে রডের খাচাও ব্যবহার করা হয় নাই। এমনকি নির্মাণ কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলা হয়। ভবনটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
গোয়ালাবাজার আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মুকিত আজাদ অভিযোগ দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করে সুরমা নিউজকে বলেন, অভিযোগে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারসহ ৫জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে পুলিশের হাতে আটক ঠিকাদার শাহ আলম এবং তার সহযোগী আবদুল কাইয়ুম ও লোকমান হোসেনকে আজ রবিবার ফৌজধারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা সুরমা নিউজকে জানান, জেলহাজতে প্রেরণকারীদের গত শনিবার আমাদের কাছে সোপর্দ করা হয়েছিল। কোন লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় ৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।