বালাগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি : পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ চরমে
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুলাই ২০১৭, ৯:৪১ অপরাহ্ণ
রজত দাস ভুলন,বালাগঞ্জ থেকে: বালাগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানি রয়েছেন। এলাকার বিভিন্ন জায়গা ও লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়। গত ১৭দিন ধরে বালাগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় পানি উঠার কারণে দাফতরিক কার্যক্রম অনেকটা বন্ধ রয়েছে। উপজেলা হাসপাতাল, সদরের শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলোও ও আবাসিক এলাকা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পূর্ব পৈলনপুরে একমাত্র সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া যেখানে নেই সেখানে উচু বিদ্যালয়গুলোতে বন্যার্থদের থাকতে বলা হয়েছে দেওয়ান বাজারে দুটি বিদ্যালয়ে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ সিংহ আরও জানান, পানিবন্দি হয়ে লোকজন দুর্ভোগে সময় কাটাচ্ছেন সত্যি । সরকারি ভাবে প্রথমে ৫টন পরবর্তীতে আরও ১২ টনচাল ও নগদ ২১ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্ব এসেছে সেগুলো ৬টি ইউনিয়নে বন্টন করা হয়েছে। তিনি পূর্বগৌরিপুরে বিভিন্ন এলাকা গতকাল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে গতকাল ১লা জুলাই শনিবার বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করে নগদ অর্থ প্রদান কেেরছন। তাছাড়া রাধাকোনা গ্রামে ৩০টি পরিবারের মধ্যে বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তুহিন মনসুর ১০ কেজি করে চাল প্রদান করেন।উল্লেখ্য যে চৈত্র মাসের অকাল বন্যায় বুরো ফসলহানির পর থেকে এ পর্যন্ত বালাগঞ্জ এলাকায় তিন দফায় বন্যা দেখা দেয়। পনের দিনের ব্যবধানে দুই দফার বন্যা পানিবন্দি হত দরিদ্র লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বন্যা আক্রান্ত এলাকার প্রতি ঘরে-ঘরে শুধুই আর্তনাদ। তাদের পক্ষে জীবন-ধারন করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। গত ১৭ দিন ধরে প্রতি দিনই নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কুশিয়ারা পানি বিপদ সীমার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী পারের গ্রামগুলোর বাসিন্ধারা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানি বিশুদ্বকরন ট্যাবলেট ও খাবার স্যালাইন ছয়টি ইউনিয়নে বিতরন করা অব্যাহত রয়েছে। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ত্রান অপ্রতুল রয়েছে। এছাড়া সেরকারিভাবে ত্রান সামগ্রী বিতরন তেমন একটা নেই।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া বলেন, বালাগঞ্জে বন্যা আক্রান্ত এলাকায় অনেক মানুষ পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে । এ পর্যন্ত পহেলা জুলাই ১৭ টন চাল ও নগদ ২১ হাজার ৫ শটাকা এসেছে তা ৬ টি ইউনিয়নে বিতরন করা হয়েছে।শনিবার সদর ইউনিয়নের অনেক গ্রামেই খোজ নিতে ছুটে গিয়েছি সরকারের পাশাপাশি আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই নগদ অর্থ দিয়েছি তা খুবই কম। তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। চাল ব্যবসায়িদের চাল বৃদ্বি না করার আহবান জানান তিনি এবং বিত্তবানদের দুর্গতদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান।