সিলেটে জমে উঠেনি ঈদ বাজার : প্রবাসী ক্রেতা কম, কমেছে রেমিটেন্স
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০১৭, ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটে জমে উঠেনি ঈদ বাজার। অন্যান্য বারের তুলনায় এবারের রোজার ঈদ মোটেই জমছে না বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের আর মাত্র ৯দিন। এর মাঝেও কেনাবেচা অনেক কম। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, অন্যান্য বছর প্রবাসীরা ঈদুল ফিতরের আগে দেশে এসে ‘ধুমাইয়া’ কেনাকাটা করেন। এ বছর প্রবাসীরা দেশে এসেছেন কম। বড় কথা প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স কম হওয়ার ফলে দেশে থাকা আত্মীয় স্বজনদের হাতেও পর্যাপ্ত টাকা নেই। এছাড়া খারাপ আবহাওয়া ও বন্যার ফলে মফস্বল এলাকার লোকজন কেনাকাটায় তেমন আগ্রহী নয় বলেই ব্যবসায়ে মন্দা ভাব বলে দাবী করলেন শুকরিয়া মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ী। তবে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, দু’একদিনের মধ্যে কেনাবেচা জমে উঠবে। সার্বিক অবস্থা নিয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেক ব্যবসায়ী ঈদের মার্কেটে যে বিনিয়োগ করেছেন তা তুলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অনেক দোকানেই ক্রেতারা ভীড় করছেন ঠিক। তবে সেই তুলনায় বেচাকেনা কম। এই মার্কেটে পাঞ্জাবী, শাড়ী, নিচ তলায় ঘড়ির দোকানসহ নানা রকমের ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান রয়েছে। অনেক ক্রেতা মার্কেটে ঘুরাঘুরি করলেও ক্রয়ে আগ্রহী নয় বলে আলাপকালে জানান ব্যবসায়ীরা।
মিনহাজুর রব নামের এক ক্রেতার সাথে কথা হয় ‘রুপসাগর’ শাড়ীর দোকানে। তিনি বলেন, তার মায়ের জন্য শাড়ী দেখতে এসেছেন। সুযোগ মত হলে শাড়ী কিনতে পারেন। মিসবাহ উদ্দিন শিমুল নামের একজন স্ত্রী নিয়ে এসেছেন কেনাকাটা করতে। তিনি জানান, ‘জেক্স টেক্সটাইল’ থেকে স্ত্রীর জন্য শাড়ী কিনেছেন। তবে, শাড়ীতে অনেক বেশি দাম বলে তিনি জানালেন।
‘বিশাল’ মর্ডাণ শপ এর দায়িত্বে থাকা আকিকুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ে পুরো মান্দা চলছে। শাড়ী, রেডি-আনরেডি ড্রেস, কসমেটিস,র্সাট ও ফ্রেবিক্সের অনেক সংগ্রহ থাকলেও ক্রেতা নেই। খারাপ আবহাওয়া ও প্রবাসী দেশে কম আসার ফলে এমনটা হচ্ছে বলে তিনি বলেন। একই কথা বলেন, ‘জেক্স টেক্সটাইলে’র শো-রুম ব্যবস্থাপক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বন্যা ও খারাপ আবহাওয়া একটা কারণ। তবে বিশেষ করে, মফস্বল এলকার লোকজন অন্যবার ক্রেতার তালিকায় বেশি থাকেন। এবার তা দেখা যাচ্ছে না। তাদের দোকানে সবোর্চ্চ আট হাজার টাকার শাড়ী থেকে সর্বনিম্ন চারশ টাকার শাড়ী রয়েছে। সবগুলোই দেশি শাড়ীর কালেকশন বলে তিনি জানান। ‘রুপ সাগর’ এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আফজল আহমদ বলেন, ওভারঅল ব্যবসায়ে মন্দা ভাব চলছে। প্রবাসীদের রেমিটেন্স আসার ফলে মানুষ জনের হাতে টাকা কম। ফলে বাজারে মন্দা চলছে। তবে, ২/১ দিনের মধ্যে ব্যবসা জমে উঠবে বলে তিনি মনে করেন।
পাঞ্জাবী ব্যবসায়ীদেরও একই অবস্থা। ‘কারণ্য ক্রাফট’ এর পরিচালক নাসিম আহমদ জানান, তাঁর দোকানে শুধূ পাঞ্জবী রয়েছে। অন্য বছর ঈদের আগ মূহুর্তে বিক্রয় বেশি থাকলেও এবার সেই তুলনায় অনেক কম। খারাপ আবহাওয়া এর অন্যতম কারণ বলে তিনি দাবী করেন। তবে, ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, আবহাওয়া ভাল থাকলে শেষ সময়ে এসে তাদের পুজিঁ তুলতে পারবেন।