স্থানীয় রাজাকারদের বিচার চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করার আহবান শফিক চৌধুরীর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ জুন ২০১৭, ৯:২১ অপরাহ্ণ
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: বালাগঞ্জের আদিত্যপুর গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনায় সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের দাবি জানিয়ে, সিলেট জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় ভাবে যোদ্ধাপাধিদের বিচারের পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে বিচার শুরু করলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধিদের বিচার বানচাল করতে সর্বদা একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। এদেরকে প্রতিহত করে অবশ্যই শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার কাজ সম্পন্ন করবেন। বুধবার বালাগঞ্জের আদিত্যপুর গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথাগুলো বলেন। অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান গণকবর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি স্থানীয় রাজাকারদের বিচার চেয়ে সাধারণ ডায়েরী করার জন্য শহীদ পরিবারের প্রতি আহবান জানান।
শফিকুর রহমান চৌধুরী গতকাল ১৪ জুন বিকাল পোনে ছয়টার দিকে বালাগঞ্জ উপজেলার আদিত্যপুর গনহত্যা দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় এবং শহীদ পরিবারের মধ্যে অর্থ প্রদান করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও বোয়ালজুড় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনহার মিয়া, বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জালাল উদ্দিন আহমদ, বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আং গফুর খালিছাদার, বালাগঞ্জ ইউপি সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাবু কৃপেষ শুক্লবৈদ্য আওয়ামী লীগ নেতা তফজ্জুল হোসেন,কিনু চৌধুরী, আশরাফুল ইসলাম, ফারুক মিয়া, হরলাল নমঃ, বালাগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ জুনেদ মিয়া,বালাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রজত দাস ভুলন, সিলেট পল্রীবিদ্যুৎ সমিতি বালাগঞ্জ এলাকার মাহমুদ হোসেন মাছুম, যুবলীগ নেতা আইনুর আহমদ রমন, বালাগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি সুধেন্দু দাস অমল, সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা শেখ কবিরুল ইসলাম, নুনু মিয়া, মনির মিয়া, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুসাইন আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ নেতা সোহেল আহমদ মুন্না,এম এইচ হক, বালাগঞ্জ ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান মিয়া, বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নয়ন তালুকদার, অমল দাস আপন, জুয়েল আহমদ সহ শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ। শহীদ পরিবারের মধ্য নগদ অর্থ প্রদান করেন। ১৯ ৭১ সালে এখানে ৬৩ জনকে হত্যাকরে পাকহানাদার বাহিনী এলাকার রাজাকারদের সহযোগীতায়।