মামলা থেকে খালাস পেলেন বালাগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মে ২০১৭, ১০:১০ অপরাহ্ণ
ইলিয়াসের সন্ধান দাবিতে আন্দোলনের জের
বালাগঞ্জ প্রতিনিধি: ইলিয়াস আলী নিখোঁজ ইস্যুতে পুলিশের দায়ের করা মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেলেন বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া সহ বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মী। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে গতকাল রবিবার সিলেটের অতিরিক্তি চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবু উবায়দা অভিযুক্তদেরকে মামলায় থেকে বেকসুর খালাস দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান সহ মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গয়াস মিয়া, ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির বর্তমান সহ-সভাপতি ও তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমরান রব্বানী, ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী দয়ামীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজ মোহাম্মদ ফখর সহ আরো অনেকেই। আসামী পক্ষের আইনজীবি এডভোকেট আনোয়ার হোসেন মামলা থেকে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দির্ঘ বিলম্ভে হলেও অভিযুক্তরা সুবিচার পেয়েছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ১৭ এপ্রিল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন। নিখোঁজের প্রতিবাদে এবং সন্ধানের দাবিতে পরদিন ওসমানীনগর-বালাগঞ্জ উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যানারে ওসমানীনগরের সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের গোয়ালাবাজার ও তাজপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়। গাড়ী ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে ওই দিন ওসমানীনগর থানার তৎকালীন এসআই এমরান হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওসমানীনগর জিআর মামলা নং-৮২-২০১২। পরবর্তীতে এই মামলায় ১৯৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দেয়া হয়। বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া বলেন, প্রানপ্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের প্রতিবাদে আন্দোলন করায় দলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের ষড়যন্ত্রমূলক মামলা থেকে আমরা বেকসুর খালাস পেয়েছি। আমরা আশাবাদি সকল সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমাদের নেতা এম ইলিয়াস আলী শিগগিরই আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।