নবীগঞ্জে গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, অতঃপর ঘটনাস্থলে র্যাব-৯
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মে ২০১৭, ৫:২৩ অপরাহ্ণ
ছনি চৌধুরী, হবিগঞ্জ থেকে:
নবীগঞ্জ উপজেলায় এক সন্তানের জননীর রহস্যজনক ভাবে হাত বাধা অবস্থায় গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ । উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মানসিক রোগী জাবিদ উল্লাহ স্ত্রী’র গলা কাটা লাশ বসত ঘর থেকে উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এই রহস্যজনক ঘটনায় শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ এর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিভাবে এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে কেউ বলতে পারেনা। স্থানীয়রা জানান, নিহত আমিনা বেগম প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার রাতে খাওয়া ধাওয়া শেষে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকালে আমিনার ছেলে আমিনূল হক ঘরে গিয়ে দেখতে পায় আমিনা বেগমের মাথার উপড়ে বালিশ দিয়ে চাপা দেয়া। তখন সে তার মাকে ডাক দিয়ে কোন সাড়া না পাওয়ায় বালিশ সড়িয়ে দেখতে পায় তার মায়ের গলা কাটা। এসময় তার চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে এসে দেখেন আমিনার রক্তাক্ত মৃত দেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে। জানা গেছে আমেনা বেগমের স্বামী মানসিক সমস্যা আছে। স্বামী জাবিদ আলী ও তার ছেলে এক ঘরে থাকতেন এবং আমিনা বেগম অন্য ঘরে থাকতেন। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা ঘটনাটি রাতে ঘটানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আমিনা বেগম গেল ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। আমেনা বেগম কামিরাই গ্রামের জাবিদ উল্লাহ স্ত্রী ও পার্শবতী গ্রামের টুনাকন্দি গ্রামের লন্ডন প্রবাসী হাজী মৃত জরিফ উল্লার কন্যা । অনুসন্ধানে জানা যায়, আমেনা বেগমের পিতা লন্ডন প্রবাসী হাজী মৃত জরিফ উল্লা ২টি বিয়ে করেন। বেশ কয়েক বছর পূর্বে আমেনা বেগমের বাবা মা মারা যান। আমেনা বেগমের আপন আরো ২ভাই বোন আছেন। জানা গেছে, জায়গা-জমি নিয়ে সৎ মা এবং ভাই-বোনদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল এনিয়ে উভয় পক্ষ থেকে একাধিক মামলার পর গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি হয়। এদিকে বিগত কয়েক বছরে ধরে খাস জমি নিয়ে বাউশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুর রহমানের সাথে আমেনা বেগমের (বর্তমান) মামলা চলে আসছিল। অন্যদিকে দুপুরে শ্রীমঙ্গল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটিলিয়ান-৯ এর এস আই মোহাম্মদ উজ্জল মিয়া নেতৃত্বে একদল র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে। নিজ ঘরে রহস্যজনক ভাবে খুন হওয়ায় এলাকা জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। নবীগঞ্জ বাহুবল সার্কেলের এ এসপি মোঃ রাসেলুর রহমান জানান, ঘরের ভিতর থেকে লাশটা পাওয়া গেছে আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি এটা পূর্ব শত্রæতা বা জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধে জের ধরে খুন হয়েছে বলে মনে করছি তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত বলা যাবে। এদিকে ময়না তদন্তের জন্য আমেনা বেগমের লাশ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় এলাকা জুড়ে আতংক বিরাজ করছে ।