সিলেটে ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত ও তার সহযোগীরা!
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০১৭, ৩:২৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার দুই তরুণীর দায়ের করা মামলার আসামি ও আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের অবস্থান সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে সাফাত তার চার বন্ধুকে নিয়ে সিলেটে অবস্থান করছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। সিলেট মহানগর ও জেলা পুলিশের কয়েকটি দল তাকে গ্রেফতার করার জন্য ইতোমধ্যে সিলেটের গোলাপগঞ্জে সাফাতদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাফাত তার চার বন্ধুকে নিয়ে সোমবার (৮ মে) দুপুরে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন সিলামের ঠাকুর বাড়ি টিল্লাপাড়ার ‘রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে’ যায়। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ তার পরিচয় জানার সঙ্গে সঙ্গে তাকে রিসোর্ট এ কোনও রুম ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান। এসময় তাদের সঙ্গে প্রাইভেট কার ছিল বলে জানা যায়। ওই রিসোর্টের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা (গণমাধ্যম) জানান, ‘পুলিশ সাফাতের অবস্থান সম্পর্কে অবগত নয়। তবে পুলিশ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। তার গ্রামের বাড়িতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’ সাফাতের গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নগর গ্রামে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা (গণমাধ্যম) জানান, ‘সাফাত সিলেটে অবস্থান করছে এমন তথ্য পুলিশের কাছে রয়েছে। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের তৎপরতা চলছে। এমনকি পুলিশের কয়েকটি দল সাফাতকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।’
সাফাত সিলেটের একটি রিসোর্ট’এ রুম ভাড়া নিতে গিয়েছিল কিনা-এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘শুনেছি সে ও তার কয়েকজন বন্ধু মিলে দক্ষিণ সুরমার সিলামের রিজেন্ট রিসোর্টে গিয়েছিল। তবে কর্তৃপক্ষ তাদের পরিচয় জানার পর তাদের রিসোর্টের রুম ভাড়া দেয়নি।’
সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের নগর গ্রামে সাফাতের গ্রামের বাড়ির আশপাশের লোকজন ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। তারা এলাকায় বেশ প্রভাবশালী ও গ্রামে অনেক সুনাম রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। তবে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাফাতের যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয় সেই দাবি জানিয়েছেন কেউ কেউ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ বলেন, ‘সাফাত যে পরিবারের সন্তান তারা খুবই ভালো। কিন্তু এ ঘটনার পর এলাকায় তাদের পরিবার নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকেই। যদি সাফাত এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার কঠোর শাস্তি হোক। আর জড়িত না থাকলে মুক্তি দেওয়া হোক।’
সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল হক শিবলী জানান, পুলিশ বাড়িটি নজরদারিতে রেখেছে। বাড়িতে সাফাত নেই বলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন। তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ সর্তকবস্থায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ঢাকার গুলশান-২ এর ৬২ নম্বর রোডে সাফাত আহমেদের বাসা ‘আপন ঘর’ এ অভিযান চালায় পুলিশ। তবে সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। প্রায় ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন