জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ জনগণকে মূল্যায়ন করার মানসিকতা রাখতে হবে : মেয়র আরিফ
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ মে ২০১৭, ১০:২৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, জনগণের সেবার মনসিকতা নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের উচিত সাধারণ জনগণকে মূল্যায়ন করা। এটা আমাদের সকলের বুঝা দরকার বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জীবনমান বৃদ্ধির স্বার্থে তাদের সকল যৌক্তিক দাবী দাওয়া পূরণে জন্য কাজ করে যাবো। দাবী দাওয়া পূরণের লক্ষ্যে সংগঠনকে অবশ্যই নিয়মতান্ত্রিকভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী সংসদ-এর উদ্যোগে বাংলাদেশ সিটি ও পৌর রকর্মচারী ফেডারেশনের কর্মকর্তা- কর্মচারী সমাবেশ ২০১৭-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী সংসদ-এর সভাপতি মো: আব্দুল বাছিতের সভাপতিত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সিসিক-এর সহ সাধারণ সম্পাদক কবির উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব, বাংলাদেশ সিটি ও পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি আক্তার হোসেন দেওয়ান সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান এবং প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের মহাসচিব এস.এম. মোশাররফ হোসেন মিলন।
সিসিক-এর সাধারণ সম্পাদক আখতার সিদ্দিকী বাবলুর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন অফিসার্স এসোসিয়েশনের আহবায়ক রুহুল আলম, সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী সংসদ-এর সাবেক সভাপতি ফরহাদ হোসেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের শহীদুল ইসলাম, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নূর খান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আলতাফ হোসেন সরকার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কুতুব উদ্দিন সোহেল। সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জামাল আহমদ এবং গীতা পাঠ করেন যুধিষ্ঠির চক্রবর্তী।
এছাড়া সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর, রংপুর সিটি সহ বিভিন্ন পৌর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবিব বলেন, মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকান্ড সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় এবং এর মাধ্যমেই অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস দিয়ে থাকে সিটি কর্পোরেশন।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ফেডারেশনের মহাসচিব এস.এম. মোশাররফ হোসেন মিলন বলেন, সিটি ও পৌর কর্মকতা-কর্মচারীদের দাবী দাওয়া আদায়ের জন্য নিয়মতান্ত্রিক আলোচনার মাধ্যমেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে সিটি ও পৌর কর্মচারীদের পেনশন প্রথা চালুকরণ , সরকারি কোষাগার থেকে বেতন ভাতা প্রদান, সিটি ও পৌর বিধিমালা ৫৩(২), ৫৪(২) ও ৬৮ ধারাসহ সকল কালো আইন বাতিল করে সিটি ও পৌর কর্মচারীদের বিধিমালা যুগোপযোগী করণ, সকল প্রকার মাস্টার রোল কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ীকরণ, নিয়োগক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীর পৌষ্য কোটায় চাকুরী প্রদান এবং সিটি ও পৌরসভার সকল ব্লক পোষ্টে যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি ও সিলেকশন গ্রেড প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহবান জানান এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।