নগরীর মদিনা মার্কেটের চাঁদাবাজি মামলায় এমরানসহ চারজন রিমান্ডে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ এপ্রিল ২০১৭, ১১:১০ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ইমরান আহমদ এমরানসহ চারজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানির পর এ আদেশ দেন।
সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালী থানার ওসি গৌছুল হোসেন এ সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই এবাদ উল্লাহ।
বুধবার আবেদনের উপর শুনানির পর আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৃহস্পতিবার থেকে তাদেরকে রিমান্ডে নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য প্রবাসী একজন মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত এমরান নগরীর কালিবাড়ির আফতাব আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরো কয়েকটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হচ্ছে নগরীর পনিটুলা এলাকার বাসিন্দা কবির আহমদ ওরফে কাজী কবির, নেহারীপাড়ার হানিফ আহমদ ও হাওলদারপাড়ার হরমুজ আলীর ছেলে সোহেল আহমদ।
সিলেটের মদীনা মার্কেট এলাকার নিবাস বি/২৭ এর বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আলতাব আলীর স্ত্রী রঙ্গুল বেগম কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। রঙ্গুল বেগম লিখিত অভিযোগে বলেন, তিনি পরিবারসহ প্রবাসে অবস্থান করেন। দেশের বাইরে অবস্থান করায় বাসা ও মদীনা মার্কেটের আফতাব ম্যানশন সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেখাশুনা করেন তার ভাগনা সৈয়দ কাউসার হোসেন। গত কয়েক মাস ধরে ইমরান তার সহযোগিদের নিয়ে কাউসারের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিলো। এজন্য প্রায়ই তাকে প্রাণনাশের ও বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দখলের হুমকিও দিচ্ছিল। পরবর্তীতে কাউছার নিরূপায় হয়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা প্রদান করেন।
রঙ্গুল বেগম আরো অভিযোগ করেন, চাঁদা পাওয়ার পরও এমরান মাসিক ১৫ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে প্রায়ই কাউসারকে হুমকি-ধমকি দিতো। দেশে ফেরার পর বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করা হয়।
এ অবস্থায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২২ এপ্রিল এমরান অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার সহযোগিদের নিয়ে মহিলার বাসায় হামলা করে এবং মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মাসিক ১৫ হাজার অন্যথায় এককালীন ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। প্রাণ রক্ষার্থে মহিলা ও তার ভাগনা দু’তিনদিনের মধ্যে টাকা দেয়ার কথা বললে সন্ত্রাসীরা বাসা ছাড়ে।
পুরো ঘটনাটি মোবাইল ফোনে ধারণ করে প্রমাণ হিসেবে মামলার বাদি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পুলিশ অভিযোগটি দ্রুত বিচার আইনে রেকর্ড করে আসামীদের আদালতে প্রেরণ করে। মামলার নং- কোতোয়ালী থানা জিআর-২৫/২০১৭, তারিখ- ২৪/০৪/২০১৭ইং।
এদিকে, মামলার বাদি রঙ্গুল বেগম বুধবার সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার সার্বিক বিষয় অবগত করেন। প্রবাসীদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার স্বার্থে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনারের সহযোগিতা কামনা করেন।