১৬ বছরের অপেক্ষা ফুরালো না বিয়ানীবাজারবাসীর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১:১৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
২০০১ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। এরপর ১৬ বছর অপেক্ষায় ছিলেন পৌরসভাবাসী। ১৬ বছর পর মঙ্গলবার এই পৌরসভায় প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবু অপেক্ষা ফুরলো না বিয়ানীবাজারবাসীর।
নির্বাচন হলেও প্রথম মেয়র খোঁজে পাননি তারা। একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় পুণঃভোট হবে এই কেন্দ্রে। এরপর ঘোষিত হবে ফলাফল। ফলে নিজেদের নির্বাচিত মেয়র পাওয়ার জন্য আরো অপেক্ষাই করতে হচ্ছে বিয়ানীবাজার পৌরসভার বাসিন্দাদের।
মঙ্গলবার উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও কসবা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী মসনন উদ্দিন ও অপর কাউন্সিলর প্রার্থী ইসলাম উদ্দিনের সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
ওই পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, গোলযোগের কারণে ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে নতুন করে ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করা হবে।
ভোট গ্রহণ শেষে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মাসুম মিয়া বলেন, কসবা সরকারি আদর্শ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ৩ হাজার ৩৮৮ ভোট রয়েছে। এই কেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় ভোট গগণা স্থগিত রাখা হয়েছে।
পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে নয়টি কেন্দ্রের ফলাফলে মেয়র পদে এগিয়ে আছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু নাসের পিন্টু। নয়টি কেন্দ্রে পিন্টু পেয়েছেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৬২৫ ভোট।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুস শুকুর পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৭১ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তফজ্জুল হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০৪ ভোট।
২০০১ সালে বিয়ানীবাজার ইউনিয়ন ও মোল্লারপুর ইউনিয়নের অংশবিশেষ নিয়ে বিয়ানীবাজার পৌরসভা গঠিত হয়।
সে সময় প্রশাসক নিয়োগ করা হয় বিয়ানীবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তফজ্জুল হোসেনকে। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মামলা জটে ভোট আটকে থাকে ১৬ বছর।
১৬ বছর পর ভোট দিতে পেরে পৌরবাসী খুশি। সকালে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হলেও বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে উৎফুল্ল মনেই লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায় ভোটারদের। পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি।