সিলেট স্কলার্সহোম স্কুলের বোমা উদ্ধার : চলছে নিষ্ক্রিয়করণের কাজ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ এপ্রিল ২০১৭, ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ স্কলার্সহোমে থাকা ‘এক্সক্লুসিভ ডিভাইস (আইডি)’ উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা “বোমা সদৃশ” বস্তুটি নিষ্কিয়করণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আজ সকাল ৯টা থেকে বোমা উদ্ধারের কাজ শুরু করে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা।
এর আগে স্কলার্সহোম স্কুলের ‘বোমা’ নিষ্ক্রিয় করতে ঢাকা থেকে র্যাবের একটি টিম গতকাল সন্ধ্যার পর সিলেট এসে পৌঁছেছিল। দীর্ঘক্ষণ পর্যবেক্ষণ শেষে তারা জানিয়েছেন আজ সকালে বোমা সদৃশ বস্তুটি নিষ্ক্রিয়করণের কাজ শুরু করবেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জেদান আল মুসা জানান, র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের টিম বোমা উদ্ধার করেছে। নিষ্ক্রিয়করণের কাজ চলছে।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯ এর মিডিয়া উইং প্রধান সিনিয়র এএসপি মাঈন উদ্দিন চৌধুরী জানান, স্কুলের সিঁড়ির নিচে পড়ে থাকা ওই বস্তুটি একটি এক্লুসিভ ডিভাইস বা আইডি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি নিষ্ক্রিয় করতে কিছুটা সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে স্কলার্সহোম স্কুল কর্তৃপক্ষ সিঁড়ির নিচে একটি বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। পুলিশ বিষয়টি জানায় র্যাবকে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জেদান আল মুসা জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। আসে র্যাবের টিমও। দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে আসে র্যাব-৯ এর একটি টিম।
সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ স্কলার্সহোমে পাওয়া ‘এক্সক্লুসিভ ডিভাইস’টি শিক্ষক, শিক্ষার্থী বা কর্মচারীদের কেউ রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জুবায়ের সিদ্দিকী। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
জুবায়ের সিদ্দিকী বলেন, ‘স্কলার্সহোম ক্যাম্পাসে সবসময়ই নিরাপত্তা জোরদার থাকে। মূল ভবনের ভেতরে অভিভাবকসহ কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। ক্লাসে কোনও শিক্ষার্থী প্রবেশ করার সময় তাদেরকে চেকিংয়ের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। তাই এ বোমা রাখার ঘটনা বাইরের কারও ঘটনোর সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসের সিসিটিভির ফুটেজ র্যাবের সদস্যরা সংগ্রহ করেছেন। তবে ক্যাম্পাসের মূল ভবনের সিঁড়ির পাশে কে বা কারা বোমাটি রেখেছে তা ক্যামেরায় ধরা পড়েনি। বোমাটি এটা কালো পলিথিন দিয়ে প্যাকেট করা ও লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো।’