‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ সমাপ্ত, আস্তানায় তিন লাশ
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ এপ্রিল ২০১৭, ১২:৪২ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজার পৌরসভার বড়হাট এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় চলা ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষ হয়েছে। আস্তানার ভেতরে তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। বোম্ব ডিসপোজাল টিমের সদস্যরা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেছেন এবং সুইপিং এর কাজ চলছে।
অভিযান শেষে আজ শনিবার দুপুরে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত করার পর আজ সকাল সাড়ে নয়টার পর ফের অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলে জানান মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল। শেষ দফায় অভিযানের জন্য সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রস্তুতি নেয় পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট। এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আলোকস্বল্পতার কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়। অভিযানের জন্য সকাল ১০ টার পর এলাকায় মাইকিং করে ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি জানানো হচ্ছে। জনসাধারণকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। একই সঙ্গে বাড়ি গুলোর দরজা জানালা বন্ধ রাখতে অনুরোধ করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার মৌলভীবাজার পৌরসভার ভেতরে বড়হাট এলাকার আবুশাহ দাখিল মাদ্রাসার গলিতে দোতলা একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা বলে সন্দেহ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে সেটি শনাক্ত করে ঘিরে রাখা হয়। গত বুধবার ওই আস্তানা থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। ৫৩ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর গতকাল সকাল থেকে শুরু হয় সোয়াটের ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’। অভিযানে পুলিশের কনস্টেবল কায়সর আহত হন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচুর বিস্ফোরকসহ বোমা তৈরিতে দক্ষ একজন ওই বাড়িতে আছে।