চূড়ান্ত অভিযানের ছক আঁকছেন বিভিন্ন বাহিনী : অভিযান যেকোন সময়
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ মার্চ ২০১৭, ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজঃ দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গি আস্তানার সন্ধান মেলার পর টান টান উত্তেজনার মধ্যে পেরিয়ে গেছে ২৭ ঘণ্টা। মধ্যরাতের পর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলামও পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। তাকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তারা চূড়ান্ত অভিযানের ছক আঁকছেন। একজন সোয়াট সদস্য বলেছেন, বাসার ভেতরে জঙ্গিরা শক্তিশালী বোমা রেখেছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এ কারণেই চূড়ান্ত অভিযানে যাওয়ার আগে সময় নেওয়া হচ্ছে।
এক ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন পাঁচতলা ও চারতলা পাশাপাশি দুই ইউনিটের ওই ভবন বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে ঘিরে রেখেছে সিলেট নগর পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা। শুক্রবার বিকালে ঢাকা থেকে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সোয়াট; রাতে পৌঁছেছে সেনাবাহিনীর একদল প্যারা-কমান্ডো।
ওই ভবনের দুই ইউনিট মিলিয়ে ৩০টি ফ্ল্যাটে সমান সংখ্যক পরিবারের বসবাস। এর মধ্যে নিচতলার একটি বাসায় জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মধ্যে বাকি পরিবারগুলো কার্যত জিম্মি হয়ে আছে এক দিন ধরে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়লে চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতির ইংগিত মেলে। এরপর মধ্যরাত পেরিয়ে গেলেও সেই অপেক্ষা শেষ হয়নি। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই আস্তানায় অন্তত একজন নারী ও একজন পুরুষ জঙ্গি রয়েছেন বলে তারা ধারণা করছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে হ্যান্ড মাইকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হলেও জঙ্গিরা তাতে সাড়া দেয়নি। বরং জানালা ফাঁক করে তারা পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি সোয়াট পাঠাতে বলে।
দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এক বাড়ি ঘিরে চালানো অভিযানের মত সিলেটেও জেনারেটর বসিয়ে ঘটনাস্থল আলোকিত করে রাখা হয়েছে। অস্ত্র হাতে আশপাশের ভবনে অবস্থান নিয়ে আছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একটি ক্রেন ও ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি গাড়িও এনে রাখা হয়েছে ওই বাড়ি থেকে কিছু দূরে। সীতাকুণ্ড অভিযানের ধরণ এখানেও অনুসরণ করা হলে শনিবার ভোরের দিকে শুরু হতে পারে চূড়ান্ত অভিযান।