হাইব্রিড ও খাই-খাইমুক্ত কমিটির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বিশ্বনাথ আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীদের
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মার্চ ২০১৭, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্কঃ আওয়ামীলীগ সাধারণ-সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সিলেট আগমন স্বাগত জানিয়ে ও হাইব্রিড ও খাই-খাইমুক্ত আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে বিশ্বনাথের দু’টি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে তারা এ সংবাদ-সম্মেলন করেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল আহমদ মতসিন।
বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি পংকি খানকে হাইব্রিড, নব্য আওয়ামী লীগ নামধারী ও সুবিধাভোগী দাবি করে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিশ্বনাথ কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যাওয়ার পথে তৎকালীন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পংকি খানের নেতৃত্বে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহর আটকানো হয়। ১৯৯৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করলে পংকি খানের নেতৃত্বেই আাওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি মুচড়ে ফেলে আগুণ দিয়েছিলেন। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পংকি খান আওয়ামী লীগকে বিশ্বনাথে নিষিদ্ধ করেছিলেন।
অথচ, সেই পংকি খান আজ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি। ২০১৫ সালের ৮ জুন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী কেন্দ্রীয় এক নেতার সঙ্গে আঁতাত করে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে পংকি খানকে সভাপতি ও বাবুল আখতারকে সম্পাদক পদে ঘোষণা করেন।
বাবুল আখতারকেও সুবিধাভোগী দাবি করে বক্তব্যে বলা হয়, দলের প্রভাব খাটিয়ে থানার দালালীর মাধ্যমে বাবুল আখতার এখন কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। উপজেলা সদরে তার কোটি টাকার একটি বাড়িও রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করলে তার সকল অবৈধ টাকা ও সম্পদের সন্ধান পাবে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার বলেন, জন্ম-সূত্রেই তিনি অনেক ভূসম্পত্তির মালিক। তাছাড়া তার সহধর্মীনি নেহারুননেছা একটি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ। কাজেই কাউকে ঠকিয়ে কিংবা দালালি করে অর্থ উপার্জনের কোন কারণ নেই।
তিনি বলেন, কোন নেতাকর্মীকে বাইরে রেখে উপজেলা আওয়ামী লীগ নয়। আমরা সকল নেতাকর্মীদের নিয়েই দলকে শক্তিশালী করতে চাই। যারা ক্ষুব্ধ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আগামী যেকোনো দলীয় সভা সেমিনারে উপস্থিত হলে যথাবিহিত সম্মানসহ তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পংকি খান সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন। তিনি বলেন, জেলা নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে কণ্ঠ-ভোটে হাত-তুলে আওয়ামী লীগ নেতারাই আমাকে সভাপতি ও বাবুল আখতারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মজম্মিল আলী, যুগ্ম-সম্পাদক নোয়াব আলী, এ.এইচ.এম ফিরোজ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মিয়া, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বশারত আলী বাচা, সহ-প্রচার সম্পাদক বশির আহমদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সমর কুমার দাশ, সদস্য শাহ আপ্তাব আলী, আব্দুর রব, যুবলীগ নেতা ফজলুর রহমান, সুহেল তালুকদার, শাহ আলম খোকন, জাহেদ তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সিতার মিয়া ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল তাহিদ, পার্থ সারথী দাস পাপ্পু উপস্থিত ছিলেন।