এক মুক্তিযোদ্ধার আক্ষেপ : বাংলাদেশ তুমি কি আমার প্রাপ্য স্বীকৃতি ও মর্যাদাটুকু দেবে?
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মার্চ ২০১৭, ১০:২৮ অপরাহ্ণ
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির পাওয়ার দাবীদার এক বীরের আক্ষেপ করা আহবান বাংলাদেশ তুমি কি আমার প্রাপ্য স্বীকৃতি ও মর্যাদাটুকু দেবে?
শ্রীমঙ্গলের আশীদ্রোণ ইউনিয়নের টিকরিয়া গ্রামের মোঃ আবদুর রহিম স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধের ৪৬ বছর পরও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার দাবিদার এ এক নতুন যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। একাত্তরের যুদ্ধে জয় লাভ করলেও এ যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত জয় পাবেন তো?
এত বছরেও মুক্তিযোদ্ধার খাতায় তাঁর নাম আসেনি, বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাঁপ করে ক্লান্ত হয়ে সর্বশেষ চেষ্টার অংশ হিসেবে গত ৭ই মার্চ এসেছিলেন শ্রীমঙ্গলের প্রগতিশীল সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের সাংবাদিক অঙ্গন নিউজ কর্ণারে। হাতে ছিল আশিদ্রোন ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে প্রয়াত চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরীর স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম নামে একটি প্রত্যায়ন পত্র। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার কর্তৃক স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে একটি প্রত্যায়ন পত্র, মৌলভীবাজারের এডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, রাসেন্দ্র দেব কর্তৃক প্রদেয় প্রত্যয়ন প্রায় ১৫ বছর আগে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে নিয়ে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট এবং আরো কিছু কাগজ পত্র।
কথা হয় তাঁর সাথে, আলাপকালে কখনো চোখে মুখে ফুটে উঠে আলোর ঝলকানি আবার কখনোবা কথায় বেরিয়ে আসে আক্ষেপ, ক্ষোভ, চাপা অভিমান। তিনি উচ্চকিত কন্ঠে অশ্রুসিক্ত নয়নে বলতে লাগলেন, বিগত কয়েক বছর আগে দৈনিক ‘সংবাদ’ পত্রিকায় শ্রীমঙ্গলের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাঁর নাম উল্লেখ করে খবর প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়ে দেশমাতৃকার প্রতি তাঁর ও তাঁর দেখা তখনকার সময় সমগ্র সিলেট বিভাগের ত্যাগী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অবদানের কথা। তিনি বলেন, ৪৬ বছর পর যখন কেউ কেউ প্রকৃত-অপ্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার প্রশ্ন তুলে, বিতর্ক সৃষ্টি করেন তখন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কষ্ট বেড়ে যায়। সম্মানসূচক স্বীকৃতির জন্য এরকম ভাবে দ্বারে দ্বারে ঘোরে বাঁচার চেয়ে যুদ্ধে প্রাণ যাওয়াটাই কি সম্মানের ছিল না? দেশকে রক্ষা করতে ’৭১ এ যুদ্ধে গিয়েছিলেন। আজও তিনি যুদ্ধ করে চলছেন। তবে তা টিকে থাকার যুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে ৪৫ বছর আগে। তখন বিজয়ীর বেশে ঘরে ফিরেছিলেন আজকের সত্তর ছুঁই ছুঁই বীর।
মহান মুক্তিযুদ্ধপূর্ব এবং যুদ্ধকালীন সেদিনের নানা স্মৃতিকথা আর আজকের দিনের আক্ষেপ তিনি প্রকাশ করেন, কিশোর বয়সে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে প্রবেশ করেন সুনির্মল কুমার দেবমিন্দা, শওকুতুল ওয়াহেদ, সুবোধ দাশ (ভারতের ত্রিপুরার প্রখ্যাত বামপন্থী নেতা) মাধ্যমে। তখন শ্রীমঙ্গলে আওয়ামীলীগ এর কোন কার্যক্রম ছিলনা বললে ভুল হবে না। এ সময় আইয়ুব খান, ‘হিন্দুদের জমি ক্রয়/বিক্রয়’ বন্ধ করে দিল। তিনি সহ রাসেন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মতিউর রহমান, মোঃ শাহজাহান, সৈয়দ শওকুতুল ওয়াহেদ এ প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। এর ফলে রাসেন্দ্র দত্ত ও তার উপর হুলিয়া জারি করে তৎকালীন পাক সরকার। তখন তাদেরকে এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে বাধ্য হয়ে আত্মগোপন করতে হয়। তিনি বলেন,“ আত্মগোপন থেকে ফিরে ১৯৬৬ সালে আবারো বাঙ্গালী জাতির মুক্তির সনদ শেখ মুজিবের ছয়দফা’র পক্ষে মিছিল-স্লোগানে আত্মমগ্ন থাকতাম। ১৯৬৭ সালে ’কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানী’তে বার শত টাকা বেতনে চাকুরির সুবাদে প্রায় এক বছর রাজনীতির ময়দানে অনুপস্থিত ছিলাম তবে যোগাযোগ ছিল। এক বছর চাকুরীর পর পীর হাবিবুর রহমান এবং আব্দুস সামাদ আজাদ স্বশরীরে মৌলভীবাজার পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান রসিদ সাহেবের বাড়িতে গিয়ে আমাকে দেশের পক্ষে উদ্বুদ্ধ করেন এবং আমি চাকুরি থেকে ইস্তফা দিয়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় ১৯৬৮ সালে যখন শেখ সাহেব কারান্তরিন, তখন শেখ সাহেবের নিঃশর্ত মুক্তির জন্য সিলেট আওয়ামীলীগের নেতা সিরাজ সাহেব, হবিগঞ্জের দেওয়ান ফরিদ গাজী, ছাত্র ইউনিয়নের বেদানন্দ ভট্টাচার্য্য এবং সদ্য প্রয়াত আওয়ামীলীগ নেতা, বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত প্রিয় (যদিও দাদা তখন আওয়ামীলীগে যোগ দেননি) সুরঞ্জিত সেন, কুলাউড়ার আব্দুল মালেক প্রমুখকে নিয়ে ব্যাপক গন আন্দোলন গড়ে তুলি। কিছুদিন পর তখনকার সময় পুর্ব পাকিস্থান ছাত্র ইউনিয়নের ১ম সাধারণ সম্পাদক আমার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু মরহুম ইলিয়াস সাহেব (পরবর্তীতে ১৯৭০,১৯৭৩, সালের নির্বাচনে নৌকারকার প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন), আসাম গণপরিষদের প্রজাসত্ব বিল পাশ করানোর নেপথ্যের কারিগর করুণা সিন্ধু রায় এর ছেলে প্রসুন কান্তি রায়, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পীর হাবিবুর রহমান, গফরগাঁওয়ের আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ, সুনামগঞ্জের গোলজার ভাই, অগ্নিযোগের বীরমাতা মনোরমা বসু, অত্যন্ত ক্ষিপ্র ও নির্ভীক মুয়িজুর রহমান, মৌলভীবাজার তথা সমগ্র সিলেটের অবিসংবাদিত আন্দোলন সংগ্রামের অকুতোভয় সংগঠক আজিজুর রহমান, কমলেষ ভট্টাচার্য্য, কনক লাল দেব চৌধুরী, আওয়ামীলীগের নেতা সৈয়দ আব্দুল মুজিব, শ্রীমঙ্গল ছাত্রলীগের আব্দুল মন্নান, এম.এ. রহিম, তরুন সেন, আবদুল মতলিব, রাধাকান্ত তাঁতী, বড়লেখার তবারক হোসেন, অপুর্ব কান্তি ধর সহ অন্যদের সাথে একাত্ম হয়ে ‘শেখ মুজিবের মুক্তির’ ইস্যুতে বৃহত্তর সিলেট এবং ময়মনসিংহের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন সংগ্রামে সরাসরি অংশ নিই তখনকার সময় আমাদের স্লোগান ছিল- ‘ইত্তেফাকের তালা খোল, শেখ মুজিবকে মুক্ত কর’।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে আমি সুনামগঞ্জের সদ্য প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করি। এর পর শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ‘এক দেশ, এক নেতা’ মেনে আমি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। এ সময় এস. কে রায় ও গোপাল সেন আমাকে ৫০০ টাকা দিয়ে আর্শীবাদ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে প্রেরণা দেন। তখন বেশিরভাগ মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন বয়সে তরুণ, প্রচন্ড দেশপ্রেমের উদগ্র বাসনায় শারীরিক কোন বাধাই কাজ করতনা তাঁদের ভেতরে। দেশ স্বাধীন করার মানসিক ইচ্ছা এতটাই সুতীব্র ছিল যে এর সামনে শারীরিক কষ্ট পাত্তা পেত না। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা। ৭ মার্চ ১৯৭১ পরই আমরা ভৈরববাজার পর্যন্ত মুয়িজুর রহমান, এম.এ রহিম ও মন্নান সাহেবের একদল লোক মিলে পুল, কালভার্ট, ইত্যাদি ভাঙ্গতে থাকি। মে মাসের শেষদিকে সুরেশ তাতীঁ, কালিদাশ পাংখ্যা, কৃষ্ণ র্যালি, কুল তাঁতী, কুনকুনিয়া রুদ্র পাল (শহীদ ড্রাইভার), হরি নায়েক, মিলে আমরা বিলাসছড়া ২৬ নং লাইন দিয়ে গেলাম বাঘাইছড়ি এবং সেখানে ছন দিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরী করি। ওখানকার পঞ্চাচায়েত কমিটির সদস্য পঞ্চু তাঁতী খাবার দিতেন। আমি একদিন ভুলতথ্যে খবর পেলাম বর্তমান কৃষিমন্ত্রি অগ্নিকণ্যা মতিয়া চৌধুরী ও পংকজ ভট্টাচার্য্য মিটিং করবেন আগরতলা। আমি মিটিং এ যাওয়ার উদ্দেশ্যে আগরতলা যাওয়ার সময় ভারতবাহিনীর নিকট সন্দেহজনকভাবে ধরা পড়ি তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলেন, তখন হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের এক কর্মীর মাধ্যমে ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দিন চেীধুরী (আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী) জিজ্ঞাসাবাদস্থলে আসেন এবং আমাকে মুক্ত করেন। এসময় ইন্ডিয়ান অফিসার আমাকে একটি পাস কার্ড প্রদান করেন। তবে আসলে ঐদিন মিটিং হয়নি। কয়েকদিন পরে মিটিং হয়েছিল, তবে আমি যেতে পারিনি তখন, হঠাৎ আমার উরুদেশে কাবার্ঙ্কুল হয়েছে। এর পরে সৈয়দ মতিউর রহমানের সাহায্যে ভারতের বালিগাঁও এ ট্রেনিং এ যোগ দিলাম। ২-৩ দিন এখানে ট্রেনিং করার পর অমিয়নগরে ট্রেনিং এ গেলাম। কিন্তু সেখানে ২ দিন সামরিক ট্রেনিং করার পর অসুস্থতার জন্য আমাকে বালিগাঁ ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হল। ঐ সময় আমাকে দম ধরে রাখা এবং প্রতিকুল অবস্থায় চৈতন্য ধরে রাখার জন্য উত্তেজনাকর ট্যাবলেট তারা খাইয়ে দিত। তখন সেক্টর -৪ এর কমান্ডার কর্ণেল সি.আর. দত্ত স্যার (পরবর্তীতে মেজর জেনারেল) আমাকে ১৫০ রুপি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বলেন এবং আমাকে গোয়েন্দা তথ্য নেওয়া, এদেশের জনগনকে আশ্বস্ত করা, র্যাকি করা, অস্ত্রধারী মুক্তিযুদ্ধাদের শত্রু সম্পর্কে তথ্য দেওয়া, আহত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করা, হাতবোমা ও এক্সপ্লোসিভ বহন করতে হত। এরপর সেপ্টেম্বর – অক্টোবর মাসে সেক্টর- ৩ এ চলে আসি এবং দুর্গেশবাবুর অধীনে অস্ত্রধারী যোদ্ধা সামাদ, জাহির, আবদুল জলিল এদের সাথে হবিগঞ্জের ৪০ কিমিঃ পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। ঠান্ডা পানির ভেতরে প্রচন্ড শীতে, মশা মাছির কামড়, জোঁকের রক্তচোষায়- এগুলোর কোনও কিছুই আমাদের আটকাতে পারতনা। এরপর নভেম্বরের শেষ দিকে আমাদের কয়েকজনকে বেছে ফুলতলাতে এক প্রলয়ংকরী সম্মুখ যুদ্ধে পাঠানো হল। ধলাই সীমান্তে জঙ্গলে এক সময় আমি গুলি খাই তবে গুলিটি খুব সম্ভবত গাছগাছালির ডালপালায় লেগে আমার পায়ে আঘাত করেছিল। আমাকে কমলপুরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর পর ৬ ডিসেম্বরে আমি ভানুগাছ এ আসি এবং শতকষ্টে হেটে ৭ ডিসেম্বরে বিদ্ধস্থ শ্রীমঙ্গলে আসি। এ সময় আমি সহ আরও মুক্তিযোদ্ধা মেশিন দিয়ে ভারতীয় বাহিনীর সাথে পুতে রাখা মাইন উত্তোলনে সাহায্য করি এবং বর্তমান র্যাব – ৯ ক্যাম্পের ছাদের উপর একজন হিন্দু মহিলার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাই। এছাড়া, সাধুবাবার থলিতে অনেক লাশ ও হাড়গোর দেখলাম। এরপর বাড়িতে গেলাম এবং মা’এর সাণিধ্যে গিয়ে স্বাধীন বাংলার স্বাদ উপভোগ করি। কিছুদিন পর ডা. রমা রঞ্জন দেব এর বদান্যতায় কালীঘাট হাসপাতালে ইংরেজ ডাক্তারের তত্বাবধানে পায়ের চিকিৎসা গ্রহণ করি।
আশির দশকে আবারো আমার উপর হুলিয়া জারি করা হয়। কারন আমি নাকি এক বক্তৃতায় বলেছিলাম ‘জিয়াকে টিয়া পাখির মত উড়িয়ে দেব!’ গোয়েন্দাসংস্থার এরকম একটি রিপোর্টের সুত্র ধরে পুলিশ আমাকে বাড়িতে ধরতে এসেছিল। ফলে আমাকে আবারও আত্মগোপনে যেতে হয় বহুদিনের জন্য। পরবর্তীতে সংবাদ পত্রিকায় লিখালিখি করতাম।
বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার কন্যার নিকট আবেদন, মৃত্যুর পুর্বে মুক্তিযোদ্ধার প্রাপ্য স্বীকৃতিটি যেন উনি আমাকে দেন যাতে করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আমার মৃত্যুপরবর্তী দাফন হয়। স্বীকৃতির সহিত ভাতা পেলেও আমার ইচ্ছা এ টাকা দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের লেখাপড়া এবং গরীবদের দাফনকার্য এবং সংকারকার্যের জন্য ব্যয় করা। কারন, আমি অভ্যাসগতভাবে একবেলা খাই, আমার যা যৎসামান্য সম্পদ আছে তা দিয়েই আমার চলে এবং চলবে। নতুন প্রজন্মের প্রতি আমার একান্তই আবেদন তোমরা মূল্যায়ন করতে শেখো এক সাগর রক্তের বিনিময় অর্জিত দেশের, এ দেশের জন্য তোমাদের কী করা দরকার তোমরা একবার ভেবে দেখ।