সিলেটে ছাত্রলীগের পাঁচ অস্ত্রধারীকে কারাগারে প্রেরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মার্চ ২০১৭, ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট এমসি কলেজে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্রদলের মিছিলকে ধাওয়াকারী পাঁচ অস্ত্রধারীকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। রবিবার দুপুরে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
তবে এক অস্ত্রধারী পরোয়ানা মাথায় নিয়ে এখনও পলাতক।
কারাগারে যাওয়া পাঁচ অস্ত্রধারী হচ্ছেন- সিলেট মহানগরীর শাহপরান থানার সাদিপুরের তারেক আহমদ (২৩), একই থানার মিরাপাড়ার সালমান অপু ওরফে শামসুল ইসলাম অপু (২৪), মোগলাবাজার থানার দাউদপুরের আলতাফুর রহমান মুরাদ (২৩), সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদীপুরের রবিউল হাসান (২২) ও মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরবাগ গ্রামের সৌরভ আচার্য (২৬)। কানাইঘাট উপজেলার ফকিরেরগাঁওয়ের আপন (২৩) এখনও পলাতক।
তন্মধ্যে তারেক ও অপু এমসি কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষে, সৌরভ ডিগ্রি ৩য় বর্ষে, মুরাদ মাস্টার্সে, রবিউল ডিগ্রি ২য় বর্ষে এবং আপন অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবী রশিদুল ইসলাম রাশেদ জানান, ওই পাঁচ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রায় এক যুগ পর গত জানুয়ারিতে এমসি কলেজ ছাত্রদল শাখার আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। কমিটি গঠিত হওয়ায় ৩০ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে ছাত্রদল। ওই মিছিলে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী প্রকাশ্যে দা, রড উঁচিয়ে ধাওয়া করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং পরদিন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।
বিষয়টি নজরে আসায় সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো ফৌজধারী কার্যবিধির (কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর) ১৮৯৮ এর ২৫ ধারা অনুসারে ওই ধাওয়াকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। এছাড়া সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেন তিনি।
সূত্র জানায়, সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া কথা থাকলেও পুলিশ সময় বর্ধিত করে। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) শাহরিয়ার আল মামুন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমসি কলেজের ওই ছয় শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসাথে দ্রুতবিচার আইনে মামলা রেকর্ডভুক্ত করার আদেশও দেন আদালত। এর প্রেক্ষিতে দ্রুতবিচার আইনে মামলা (নং-৭৮/২০১৭ সিআর) রেকর্ড করা হয়।