দালালদের প্রতারনা : বিদেশ ফেরৎ বালাগঞ্জের সেবুলের পরিবার এখন নি:স্ব
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মার্চ ২০১৭, ১০:৫১ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
দালালদের মাধ্যমে ভিসা ক্রয় করে ভাগ্যান্বেষণে বিদেশ গিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েছেন লেবানন ফেরৎ জাহিদুল ইসলাম সেবুল নামে এক যুবকের পরিবার। ২মাস ২৮ দিন পর দেশে ফিরেছেন তিনি। লেবানন ফেরৎ সেবুল বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের বড়জমাত গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র।
দালালদের মাধ্যমে ভিসা ক্রয় করে লেবানন যান সেবুল। সেখানে ছোট্ট একটি রুমে ৪-৫ জন লোকের সাথে গাদাগাদি করে তাকে থাকতে হয়েছে। ময়লা, আবর্র্জনা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাওয়া-দাওয়াও করতে হয়েছে।
সেবুল জানায়, বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের পাঁচহাল গ্রামের হাবিব উল্লার ছেলে বিদেশে লোক পাঠানোর দালাল মজমিল আলীর সাথে লেবাননে যাওয়ার ভিসা প্রসেসিং সহ ভিসার যাবতীয় খরচ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা ধার্য্য করা হয়। এ বিষয়ে একশ’ টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে চুক্তিপত্র সম্পাদন করার পর ভিসা প্রদানকারী মজমিল আলীর কাছে চুক্তির ৫ লক্ষ টাকা হস্তান্তর করা হয়। চুক্তিপত্রে ৪০-৫০ হাজার টাকা মাসিক বেতনের কথা উল্লেখ রয়েছে। টাকা নেওয়ার পর মজমিল আলী সেবুলের পিতাকে জানায় ৩ মাসের একটি ভিসায় লেবানন যাওয়ার পর কাজে যোগদান করলেই ৩ বৎসর মেয়াদী ভিসার ব্যবস্থা হবে। মজমিলের কথামত গত বছরের ৭ নভেম্বর সেবুল ঢাকা শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে লেবাননে গিয়ে পৌঁছেন। ৩-৪ দিন পরই সেবুলকে ভালো কাজ পাইয়ে দিতে দেশে থেকে আরো দুই লক্ষ টাকা দেয়ারার জন্য চাপ দেয়া হয়। কিন্তু সেবুল টাকা দিতে অপারগতা দেখালে জাকির নামে দালাল চক্রের এক সদস্য সেবুলকে প্রাণে হত্যার হুমকী দেয়।
ভিসা প্রদানকারী মজমিল আলীকে বিষয়টি জানালে মজমিল আলী প্রথমে সেবুলকে দেশে ফিরিয়ে আনতে অপারগতা প্রকাশ করলেও পরে স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের চাপের মুখে রাজি হয়। কিন্তু সেবুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার পর কোন ধরনের ক্ষতিপূরন না চাওয়ার শর্তে মজমিল আলী সেবুলের পিতার কাছ থেকে একটি লিখিত অঙ্গিকার নামায় সঁই নেয়ার পর প্রতারক দালাল চক্রের কবল থেকে সেবুল দেশে ফিরে আসেন।
সেবুলের পিতা সুরুজ মিয়া বলেন, আমার ছেলে দেশে আসার পর অসুস্থ থাকায় প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে পারিনি।
প্রতারণার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ মুরব্বিয়ানদের জানিয়েছি। প্রতারক মজমিল আলীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরন আদায়ের বিষয়ে আইনের সরনাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।