ওসমানীনগরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে ছুরিকাঘাত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১১:৫১ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের ওসমানীনগরে এক গৃহবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে তারই আপন চাচাত ভাই। গত বুধবার ভোরে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির জটুকোণা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধূকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় আহত গৃহবধূর পিতা আবদুল মুহিত বাহার বাদী হয়ে বুধবার রাতে তার ভাই ফারুক মিয়ার ছেলে আবদুল হাদি জুয়েলকে আসামী করে (মামলা নং ১৯) দায়ের করেছেন।
গৃহবধূ বাবা আবদুল মুহিত বাহার জানান, আমার অসুস্থতার খবর পেয়ে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে আমাকে দেখতে আসে আমার মেয়ে। গত মঙ্গলবার রাতে আমার মেয়ে ও কাজের মেয়ে বাড়িতে রেখে আমি ও আমার স্ত্রী ডাক্তার দেখাতে সিলেটে গিয়েছিলাম। এ দিন রাতে আমরা সিলেট শহরে থেকে যাই। বুধবার ভোরে আমার মেয়ে পানির পাম্প ছাড়তে গেলে আমার ভাতিজা জুয়েল আমার মেয়ে ধষর্ণের উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক টেনে হেচড়ে নিজের শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়। এসময় আমার মেয়ে ধর্ষণে বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়েল আমার মেয়ের পেটে ছুরি মারে। কিন্তু ছুরিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে তার ডান হাতে লাগে। ছুরিকাঘাতে আমার মেয়েকে গুরুতর আহত করে জুয়েল পালিয়ে যায়।
আবদুল মুহিত বাহার আরো জানান, থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে মুঠো ফোনে জুয়েলের অব্যাহত হুমকীর মুখে নিরাপত্তহীনায় ভোগছি। মামলা তুলে নিতে আমাকে ও প্রবাসে থাকা আত্নীয় স্বজনকে হুমকি দিয়ে চলেছে। বিষয়টি পুলিশকেও জানিয়েছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসমানীনগর থানার এসআই অনুজ কুমার দাশ মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।