সিলেটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে সর্বনাশা ইয়াবা, বেরিয়ে এসেছে ইয়াবাচক্রের মূল হোতাদের নাম
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৫:২৫ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে সর্বনাশা ইয়াবা। একটি অপগোষ্ঠীর অপতৎপরতায় সিলেটে এখন হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা নামক ভয়ানক মাদক। সিলেটে বেশ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত, যারা অবৈধ এই ইয়াবার ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।
জানা গেছে, সিলেটে যারা ইয়াবা ব্যবসা করে বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছে, তারা হলেন আহমেদপুরের শহীদ, শহীদের স্ত্রী বুলু, শহীদ ও বুলুর ম্যানেজার মোবারক, ধরাধরপুরের রুহেল, ভার্তখলা এলাকার শাহীন, দক্ষিণ সুরমার সাবিহা, একই এলাকার নাছিমা, রেবা, রহিম, চান্দের বাড়ির রাবিয়া, শিববাড়ির আশিক, বদিকোনার আলম ড্রাইভার, বলদি গ্রামের এনাম এবং শহীদের সেকেন্ড ইন কমান্ড আনোয়ার।
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে শহীদ ও বুলু সিলেট শহরের পুরান রেলস্টেশনের ভিতরে ব্যবসা করে। এ এলাকায় বিকাল থেকেই জমে ওঠে ইয়াবা বিক্রি। ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নিজেদের আস্তানায় টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসে যায়। আর তাদের আস্তানা ঘিরে বেড়ে যায় ইয়াবাসেবীদের আনাগোনা। শহীদের শ্বশুর আকাশ। টাঙ্গাইলের বাসিন্দা হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ইয়াবা বিক্রির অপরাধে বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। বরইকান্দি এলাকায় আকাশের তিনতলা বিলাসবহুল বাড়ি আছে। তার জামাতা শহীদেরও আহমেদপুরে আছে বিলাসবহুল বাড়ি।
শাহীনের বিলাসবহুল বাড়ি আছে ভার্তখলায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় যাতে পালিয়ে যাওয়া যায় এ জন্য শাহীন তার বাড়ির আধা কিলোমিটার দূরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছেন। সম্প্রতি শাহীনের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালালে তিনি সিসি ক্যামেরায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশ শাহীনের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা ও কয়েকশ’ ইয়াবা উদ্ধার করে। শাহীন তার বিলাসবহুল বাড়ি সব সময় বিয়ে বাড়ির মতো রঙিন বাতি দিয়ে সাজিয়ে রাখেন।
স্থানীয়রা জানান, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতেই শাহীন এমনটা করেন। এ ছাড়া জিন্দাবাজার এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আশিক ও রমজান। আর শাহেদ ওরফে সোর্স শাহেদ, আলী ওরফে চোরা আলী শেহঘাট ঘাসিটোলা এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা চালাচ্ছেন। ছাতকের ফকিরটিলার আরেক ইয়াবা ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম মিন্টু। পেশায় আগে সাপুড়ে হলেও এখন তিনি ইয়াবা ব্যবসা করেন। আরেক ইয়াবা ব্যবসায়ী লায়েক। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার নামে বেশ কয়েকটি ছিনতাই মামলাও আছে। ধরাধরপুরের রুহেলের ব্যবসা শাহী ঈদগাহ, মেজরটিলা, মদিনা মার্কেটে। এ ছাড়া মাসুক মার্কেট, সুরমা মার্কেট, হজরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাধাঘাট ইত্যাদি এলাকাতেও তার ব্যবসা আছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন