সিলেটে শিশু সায়মা হত্যার দায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১:১২ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটে শিশু সায়মা (৬) হত্যার অপরাধে সাইফুল আলম ওরফে বেলাল (৩২) নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জয়নাল আবেদীন এ রায় ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মামলায় হত্যাকাণ্ডের শিকার শিশুটির মা রাবেয়া বেগমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া বেলাল সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাদেপাশা গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এপিপি অ্যাডভোকেট বেলাল উদ্দিন ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মোছা. আছমা বেগম ও অ্যাডভোকেট আয়শা বেগম।
আদালত সূত্র জানায়, গোলাপগঞ্জ থানার বাদেপাশা গ্রামের মৃত সাজেদ আলীর ছেলে আছাব আলী ওরফে ইছহাকের স্ত্রী রাবেয়ার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো একই এলাকার সাইফুল আলম ওরফে বেলালের। তাদের এ সম্পর্কের কথা রাবেয়ার মেয়ে সায়মা বাবা আছাব আলী ওরফে ইছহাককে বলে দেয়। এটি জানার পর সাইফুল আলমকে তার বাড়িতে আসতে নিষেধ করেন ইছহাক। এর জের ধরে সাইফুল ২০০৬ সালের ৫ মে বিকেলে রাস্তার পাশে খেলতে থাকা সায়মাকে ডেকে স্থানীয় হাফিজিয়া এবতেদায়ী মাদ্রাসার পেছনে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী আজির উদ্দিনের বাড়ির শৌচাগারের ট্যাঙ্কিতে ফেলে দেয় বেলাল।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইসহাক বাদী হয়ে সাইফুল আলম বেলাল ও রাবেয়া বেগমকে আসামি করে গোলাপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৭ জুলাই সাইফুল ও রাবেয়াকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলাটির বিচারকার্য শুরু হয়। ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি সাইফুলকে ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আসামি রাবেয়াকে বেকসুর খালাস দেন।