ব্রিটেনে একটানা ৫১০ ঘন্টা তবলা বাজিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশী সুদর্শন
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ ডিসেম্বর ২০১৬, ২:২৬ অপরাহ্ণ
লন্ডন অফিসঃ তবলা বাজিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী তবলা বিশারদ সুদর্শন দাস। বিশ্ব দরবারে বাঙালি সংস্কৃতি তুলে ধরতে একটানা ৫১০ ঘণ্টা তবলা বাজিয়ে গিনিস ওয়ার্ল্ড বুকের পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ার পথে এগুচ্ছেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছেলে সুদর্শন দাস।
১৯৯৮ সালে বিশ্বভারতী থেকে তবলাবিশারদ উপাধিতে ভূষিত হওয়া এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি গতকাল পর্যন্ত ৪৮০ ঘণ্টা তবলা বাজিয়েছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ থেকে ১৯৯২ সালে পড়তে যান ভারতের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীতে। সেখানে পণ্ডিত বিজন চ্যাটার্জির কাছ থেকে সংগীতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন। যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের ম্যানর পার্ক এলাকার শিভা মুনেতা সঙ্গম মিলনায়তনে গত ২৭ নভেম্বর শুরু হয় তবলা বাজানো। ২৫ দিনের এই তবলা বাজানোর সমাপনী আগামী ২২ ডিসেম্বর।
সুদর্শন দাস রেকর্ড গড়ার উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, আমার ভিশন তবলা বাজিয়ে বাংলাদেশকে আরও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার। আমাদের সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিতে চাই। বিশ্ববাসী যেন আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি বুঝতে পারেন। এই লক্ষ্যে গত ৩ বছর যাবৎ আমি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। এবার সারা বিশ্বের ১২ জন আবেদন করলেও, আমি একা মনোনয়ন পেয়েছি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস প্রক্রিয়া তুলে ধরে তিনি বলেন, সারা দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২ ঘণ্টা বিরতি পাব, বাকি ২২ ঘণ্টা বাজাতে হবে।
বিরতির ২ ঘণ্টায় খাবার, গোসল, ঘুম ও টয়লেটের জন্য পাচ্ছি। আবার কেউ মুখে খাবার তুলে দিলেও খেতে পারব। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সুদর্শন দাস আরও বলেন, আমরা সবাই যেন সুন্দরভাবে সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করতে পারি। এই মাস বিজয়ের মাস। আমি ২২ ডিসেম্বর রেকর্ড গড়ে তবলায় বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছি বলে আশা করি। আমি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলব, আমরা সবাই সম্প্রীতি বজায় রাখব। আমরা সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করতে চাই। হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে সবাই একসঙ্গে মিলে দেশ গড়ার প্রতিজ্ঞা করতে পারি। বিশ্বে দীর্ঘ সময় ধরে হাতে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর বর্তমান রেকর্ডটি ৫০১ ঘণ্টার। সেই রেকর্ড ভারতের কুজলমান্নাম রামাকৃষ্ণান নামে এক ব্যক্তির দখলে। আগের রেকর্ডটি ভাঙতে ৫০১ ঘণ্টা বাজালেই চলবে। তবে সুদর্শন চান কমপক্ষে ৫১০ ঘণ্টা বাজাতে, যাতে ওই রেকর্ড ভাঙতে কেউ সাহস করতে না পারে। সর্বশেষ টানা ১৫ দিন বাজানোর একটা অনুশীলন করে দেখানোর পর মিলেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের অনুমোদন।