ওসমানীনগরের ১০৭ ভোটে চোখ ১৮ প্রার্থীর
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০১৬, ৭:০৪ অপরাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জেলা পরিষদ নির্বাচনের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। ওসমানীনগরের ১০৭ ভোটের জন্য দিনরাত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ১৮ প্রার্থী । চেয়ারম্যান পদে ৪, সদস্য পদে (৮ নং ওয়ার্ড) ৯, মহিলা সদস্য পদে (৭,৮,৯) ৫ জন । ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ ও ওসমানীনগরের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ৮নং ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১০৭টি । এলাকার জনপ্রতিনিধি এই ভোটাররাই নির্বাচিত করবেন তাদের পছন্দের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, নিজ এলাকার সদস্য, ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের ।
আগামী ২৮ তারিখ জেলা পরিষদ নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদে জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডঃ লুৎফুর রহমান। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউদ্দিন আহমদ লালা, এনামুল হক সরদার ও মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম । সব প্রার্থীরাই ওসমানীনগরের এক প্রান্ত হতে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোট সংগ্রহের জন্য।
সদস্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা সাইয়্যিদ আহমদ বহলুল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পংকজ পুরকায়স্থ উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক আশিক মিয়া, দয়ামীর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন নুনু, উপজেলা জাতীয় পার্টি নেতা এনামুল হক পীর, ছাত্রলীগ নেতা শিব্বির আহমেদ, এমদাদুর রহমান ,নজরুল ইসলাম নিয়ামত ও খায়রুল আমিন সুমন ।
মহিলা সদস্য পদে ৩ নং (৭,৮,৯) ওসমানীনগর বালাগঞ্জ বিশ্বনাথ থেকে প্রতিথযশা সাংবাদিক প্রয়াত মহিউদ্দিন শীরুর সহধর্মীনি হাসিনা বেগম। তাজপুর ডিগ্রি কলেজের ভূমিদাতা ও প্রতিষ্টাতা বিশিষ্ট সমাজ সেবক মরহুম আজহার আলীর মেয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমেদের সহধর্মীনি তৃণমূল নারী উদ্যেক্তা সিলেট জেলা শাখার সভাপতি সুষমা সুলতানা রুহী। । তাজপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরান রব্বানীর সহধর্মীনি রহিমা বেগম রব্বানী । বিশ্বনাথ রামপাশা ইউপির সাবেক সদস্য বিশ্বনাথ পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প বিআরডিবি পজিপের সাবেক চেয়ারম্যান গীতা রাণী দাশ । অপর প্রার্থী বিশ্বনাথের চামেলী রাণী দে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওসমানীনগরের এক চেয়ারম্যান সুরমানিউজ টুয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ভোটাধিকারের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে চাইনা। দলীয় বিবেচনায় নয় যারা যোগ্য তাদের বেচে নেওয়া আমাদের উচিৎ ।
উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ডিসেম্বরে দেশের ৬১ টি জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি গুটিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ১৯৮৯ সালে তিন পার্বত্য জেলায় একবারই সরাসরি নির্বাচন হয়েছিল। আর কোন জেলায় নির্বাচন হয়নি। পাঁচ বছর মেয়াদী জেলা পরিষদগুলোতে বর্তমানে অনির্বাচিত প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ৬১ জেলায় আওয়ামীলীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের নিয়োগ দেয় সরকার।