সিলেটে জেলা পরিষদ নির্বাচন : কামরানের পরিণতির পথে লুৎফুর
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ১:৩২ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সমন্বয়হীন প্রচারণায় অগ্নি পরীক্ষার মুখোমুখি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুর রহমান। জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক গণপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমানকে প্রথমে বিনাভোটে জিতিয়ে আনার চেষ্টা ব্যর্থ হয় একই কারণে। সিলেট জেলায় সিটি কর্পোরেশনসহ স্থানীয় সরকার প্রশাসনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যারা এ নির্বাচনে ভোটার তাদের সংখ্যা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী বিরোধী প্রায় সমানে সমান। এছাড়া দলীয় প্রতীক না থাকার প্রভাব পড়বে লুৎফুর রহমানের ভোটের হিসেবে। আওয়ামী সমর্থিত সব জনপ্রতিনিধির ভোটপ্রাপ্তি তার নিশ্চিত নয় বলে জানান স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্য কোনো রাজনৈতিক দল প্রার্থী না দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হক সরদার অনেকটা সুবিধায় রয়েছেন। তিনি গত কয়েক মাস ধরে মাঠপর্যায়ে গণসংযোগ করছেন। এমনকি আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে লুৎফুর রহমানের পক্ষে প্রচারণায় থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ে তাদের অনুসারীরা এনামুল হক সরদার ও জিয়া উদ্দিন লালার পক্ষে কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিলেট জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১২টিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন। এর মধ্যে চারটির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের হলেও বাকি ৮টি রয়েছে বিএনপি (৫) ও জামায়াতের (৩) দখলে। নতুন গঠিত ওসমানীনগর উপজেলায় এখনও নির্বাচন হয়নি। দলীয় উপজেলা চেয়ারম্যানদের মধ্যে একাধিক চেয়ারম্যান গোপনে লুৎফুর রহমানের বিপক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। গতকাল সিলেটের কয়েকটি উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের নিয়ে একের পর এক বৈঠক করে যাচ্ছেন। এসব বৈঠকেই তিনি জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গী হিসেবে পাচ্ছেন না। এই অবস্থা চলতে থাকলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের গত নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের পরিণতি হতে পারে বলে সংশয় দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। যদিও নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের সমন্বয়হীনতা নেই বলে দাবি করেন লুৎফুর রহমানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
সিলেট জেলা পরিষদের ভোটার হচ্ছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা। মোট ভোটার ১ হাজার ৪৯৩ জন। এর মধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩৭ জন, জেলার ১০৫ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ ১৩৬৫ জন, ১৩ উপজেলার চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৩৯ জন ও ৪ পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরসহ ৫২ জন। সূত্র: যুগান্তর