এবার এসে গেছে ড্রোনের যম
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ডিসেম্বর ২০১৬, ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
কথায় আছে না মশা মারতে কামান দাগানো, ড্রোন থেকে নিস্তার পেতে অনেকটা সেরকম ব্যাপারই ঘটতে যাচ্ছে।
বিরক্তিকর ড্রোন বা বিপজ্জনক ড্রোন থেকে নিস্তার দিতে রকেট লঞ্চারের মতো দেখতে নতুন এক ধরনের জ্যামার এনেছে ড্রোনশিল্ড নামের একটি কোম্পানি। যেটা সাধারণভাবে ড্রোনগান হিসেবেই পরিচিতি পাচ্ছে।
দেখতে বেশ একটা অস্ত্র অস্ত্র ভাব আছে। আধুনিক হলিউডি অ্যাকশন মুভির ভিলেনদের হাতে এ ধরনের অনেক অস্ত্র দেখা যায়। তবে ড্রোনশিল্ড বলছে, ড্রোন ধ্বংস করা তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদের উদ্দেশ্য অনেকটা ড্রোন তাড়ানো।
কেননা উন্নত বিশ্বে ড্রোন এখন পাখির চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ ব্যবহার করছে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। কেউ বা অন্যান্য কাজে। আবার কেউ একেবারেই অহেতুকভাবে ব্যবহার করছে ড্রোন। আবার কারো কারো ভিন্ন উদ্দেশ্যেও ড্রোন ব্যবহার করতে দেখা গেছে। কেউ এটাকে নাশকতার জন্যে ব্যবহার করছেন। তাই সন্দেহজনক এসব ড্রোন থেকে নিস্তার পেতে ব্যবহার করা যাবে এই ড্রোনগান।
এটা মূলত একটি জ্যামার। এর কাজ হচ্ছে ড্রোনকে সরাসরি তার মালিকের কাছে ফেরত পাঠানো। অর্থাৎ ড্রোনটি যে স্থান থেকে এসেছে, এই জ্যামার তাকে সেখানে ফেরত পাঠিয়ে দেবে। অথবা আপনি চাইলে একে সুবিধাজনক জায়গায় ল্যান্ড বা অবতরণ করাতে পারবেন।
আজকাল অস্ট্রেলিয়ার আকাশে ঈগল নাকি ড্রোনের দ্বারা বিতাড়িত হচ্ছে। সুতারং বুঝতেই পারছেন এসব দেশে কি পরিমানে ড্রোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে আশংকা। যদি এসব ড্রোনের মাঝে কোনো নাশকতার উদ্দেশ্যমূলক ড্রোন থাকে তবে তাকে আপনি তার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবেন।
৬ কেজি ওজনের এই ড্রোনগান ২ কিলোমিটার সীমানার ভেতর কাজ করতে পারবে। এটা বিভিন্ন রেঞ্জের জ্যামার ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ে কাজ করে। এতে ২.৪ এবং ৫.৮ গিগাহার্জ ফ্রিকোয়েন্সি এবং জিপিএস এবং গ্লোনাস জ্যামিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে এটা জনসাধারণের জন্যে উম্মুক্ত নয়। এখনই এটা জনসাধারণের কাছে না দিয়ে বরং এটা সরকারি নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে দেয়া হবে বলে ড্রোনশিল্ডের সিইও জেমস ওয়াকার জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় আমেরিকার সরকার এটা কিভাবে কাজে লাগায়।
জেমস শিল্ড আরো জানান, তারা শিগগিরই এই প্রযুক্তি নিজেদের নামে পেটেন্ট করতে যাচ্ছেন। যাই হোক, ড্রোনের অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যবহার বৃদ্ধিতে যারা আতংকিত ছিলেন তাদের জন্যে এটা সুখবর তো বটেই!