চলে গেলেন সিলেটী তৈয়বুর রহমান : ব্রিটেনের রানীর কাছ থেকে গ্রহন করা হলোনা এমবিই খেতাব
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ নভেম্বর ২০১৬, ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ
লন্ডন অফিসঃ ব্রিটেনের রাণীর কাছ থেকে সম্মানজনক এমবিই খেতাব গ্রহন করা হলোনা তৈয়বুর রহমান চৌধুরীর । গত ১৭ নভেম্বর দীর্ঘদিন বিভিন্ন রোগে ভোগা এই ৭৩ বছর বয়সী সমাজকর্মী চলে গেছেন পরপারে। ব্রাডফোর্ডের বাসিন্দা সমাজসেবী তৈয়বুর রহমান বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সুপরিচিতি ছিলেন । সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতি বছর রাণীর জন্মদিন ও নববর্ষে বিভিন্ন ক্যাটাগরির খেতাব প্রদান করা হয়। রাণীর ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ব্রিটেনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য খেতাব প্রাপ্তদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। যুক্তরাজ্যে এবার ১১৪৯ জনের তালিকায় অন্য দুই বাংলাদেশী বার্মিংহ্যামের গ্রাফিথি আর্টিস্ট মোহাম্মদ আলী ও ব্রিটিশ বাঙালিদের ফুটবলে উৎসাহিত করার জন্যে ওল্ডহ্যামের বাসিন্দা জুয়েল মিয়ার সাথে তৈয়বুর রহমান চৌধুরী ও ছিলেন।
ব্রাডফোর্ড লোকাল অর্থরিটিতে সমাজকর্মী হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ৫০ টি পরিবারকে শিশু দত্তক নিতে সহায়তা করেন তিনি। এই কাজের স্বীকৃতির জন্য এমবিই খেতাব পান এই ব্রিটিশ-বাংলাদেশি। ১৯৪৩ সালে সিলেটে জন্ম নেওয়া তৈয়বুর ১৯৬৩ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাশ করে ২০ বছর বয়সে চলে আসেন যুক্তরাজ্যে । ব্রাডফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রি লাভ করেন। সত্তরের দশকে স্থানীয় ব্রাডফোর্ডের উত্তরা ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন। অবসর জীবন যাপন করা তৈয়বুর ব্রাডফোর্ডের বৃহত্তম বাংলাদেশি কমিউনিটি সংঘটন ‘বাংলাদেশ পিপলস অ্যাসোসিয়েশন’ এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তৈয়বুর রহমানের মেয়ে সামিনা চৌধুরী বলেন বাবা মানুষকে সাহায্য করতে ভালোবাসতেন। কমিউনিটির মানুষের জন্য জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। এতো ব্যস্থতার মাঝেও তিনি ছিলেন একজন আদর্শ স্বামী, আদর্শ পিতা। সমাজে ভালো কাজের জন্য রাণীর কাছ থেকে এমবিই খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন এটা আমাদের জন্য বিশাল কিছু। ভাবতেই শিহরিত হই। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে বাবা তার নিজ হাতে এই সম্মান গ্রহন করবেননা।