সিলেটে ‘বলাৎকারে রাজি না হওয়ায়’ জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত, গৃহশিক্ষক আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ নভেম্বর ২০১৬, ১০:১০ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
সিলেটের জৈন্তাপুরে বলাৎকার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার এক জেএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করেছে গৃহশিক্ষক। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হামলাকারী গৃহ শিক্ষক মোক্তার হোসেনকে এলাকাবাসী গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার দরবস্ত বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত জেএসসি পরীক্ষার্থী মাহিন আহমদ মাহিন উপজেলার ৪নং দরবস্ত ইউনিয়নের তেলিজুরি গ্রামের বজলুর রহমান শামীমের ছেলে। সে স্থানীয় সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইংরেজী প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল মাহিন। দরবস্তবাজারে পৌছামাত্র তেলিজুরী গ্রামের রহমত আলীর ছেলে মোক্তার হোসেন এলোপাতাড়ী ছুরিকাঘাত করতে থাকে মাহীনের উপর। মাহিনের বাড়িতে গৃহশিক্ষক হিসেবে ছিলেন মোক্তার।
ছুরিকাঘাতের পর হামলাকারী মোক্তার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। জনতা ধাওয়া করে মোক্তারকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে তুলে দেন। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় মাহীনকে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে পাঠানো হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অস্ত্রপচার চলছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, বখাটে মোক্তার পালিয়ে বাজারের পাশে ডাইয়া গ্রামের কুতুব আলীর বাড়ীর খাটের নীচে অবস্থান নেয়। স্থানীয় জনতা পিছু নিয়ে পুরো বাড়ী ঘেরাও করে। পরে খাটের নীচ থেকে বের করে তাকে গণপিটুনি দিয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় খরব দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে মোক্তারকে জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যপারে জৈন্তাপুর থানার ওসি সফিউল কবির জানান, আহত শিক্ষার্থী মাহিনকে সুচিকিৎসার জন্য সিলেট পাঠানো হয়েছে। আর হামলাকারীকে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে: মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বখাটে গৃহশিক্ষক মোক্তার বলাৎকারের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল মাহীনকে। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন জানান, এর আগেও মোক্তারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠে। এ কারনে সেন্ট্রাল জৈন্তা উচ্চ বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক পদের চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পরীক্ষার্থী উপর হামলার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সোহেল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি উপস্থিত লোকজনকে হামলাকারীর দৃষ্টান্ত শাস্তির ব্যবস্থার আশ্বাস দেন।