বিয়ানীবাজারে পরিবহন শ্রমিক ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ১০
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০১৬, ৮:৪৭ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
বিয়ানীবাজারে মাইক্রোবাসে বরযাত্রী পরিবহন নিয়ে শ্রমিক-গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে ওসিসহ অন্তত: ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলে পৌরশহরের উত্তরবাজারে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, পৌরশহরের আলিশা কমিউনিটি সেন্টারে শ্রীধরা গ্রামের দুদু মিয়ার মেয়ের বিয়ে অনুষ্টানের প্রীতিভোজ শেষে বরযাত্রীরা বাড়ি ফিরতে চান। এ সময় একটি মাইক্রোতে যাত্রী ওঠানোকে কেন্দ্র করে বড়লেখা উপজেলার বর্ণি গ্রামের বরের পিতা আব্দুল মতিনের সাথে কথা কাটাকাটি হয় চালক বাবুল আহমদের। তাদের উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে মাইক্রো চালক বাবুল ফোন করে স্থানীয় পরিবহন চালকদের জড়ো করে এনে বরের পিতাকে মারধর করেন। এ খবর শ্রীধরা গ্রামের লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা মাইকে প্রচারণা চালিয়ে পৌরশহরে এসে অবস্থান নেন। বিকেল ৫টার দিকে গ্রামবাসী উত্তর বাজারে অবস্থিত মাইক্রো চালকদের অফিসে এসে হামলা চালান। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে শ্রীধরা গ্রামের সমছুল হক (৫৬), আমান উদ্দিন (৪০), সাইবুল (২৩), ফরহাদ (৩৪), বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, মাইক্রো চালক বাবুল (৪৫), আজিম (৩৫), শাকিল (২০)সহ অন্তত: ১০ জন আহত হন।
এ প্রসঙ্গে বিয়ানীবাজার মাইক্রো চালক সমিতির সভাপতি বিলাল আহমদ জানান, পরিবহন শ্রমিকদের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনার সুষ্টু বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
শ্রীধরা গ্রামের মুরব্বী আবু নাসের পিন্টু জানান, পরিবহন শ্রমিকরা সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করে। এরই অংশ হিসেবে তারা বিয়ের সেন্টারে হামলা করেছে। আমরা তাদের অপকর্মের দাতভাঙ্গা জবাব দেবো।
বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাশার বদরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।