প্রতারণার মামলায় রাগীব আলীর আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদকে জেলহাজতে প্রেরণ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:২৬:২০,অপরাহ্ন ১০ অক্টোবর ২০১৬
সুরমা নিউজ ডেস্ক:
জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল সংক্রান্ত প্রতারণার মামলায় বিশিষ্ট শিল্পপতি রাগীব আলীর আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো আজ সোমবার দুপুরে এ আদেশ দেন।
সিলেট জেলা জজকোর্টের অ্যাডিশনাল পিপি শামসুল ইসলাম জানান, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ ও প্রতারণার সংক্রান্ত দুটি মামলার শুনানি ছিল আজ। এসময় আদালতে হাজির হন রাগীব আলীর আত্মীয় দেওয়ান মোস্তাক মজিদ। আদালত শুনানি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল খালিক, রেজাউল করিম, এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ভূমি আত্মসাৎ এবং প্রতারণার আলোচিত দুটি মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে-মেয়েসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গত ১০ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক (চিঠি) জালিয়াতির মামলায় রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্যদিকে প্রতারণার মামলায় রাগীব আলী, তার ছেলে আবদুল হাই, জামাতা আবদুল কাদির, মেয়ে রুজিনা কাদির, রাগীব আলীর আত্মীয় মৌলভীবাজারের দেওয়ান মোস্তাক মজিদ, তারাপুর চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই ছেলেকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান রাগীব আলী।
৪২২ দশমিক ৯৬ একর জায়গার উপর তারাপুর চা বাগান পুরোটাই দেবোত্তর সম্পত্তি। আশির দশকে জালিয়াতির মাধ্যমে এটি দখলে নেন রাগীব আলী। এ নিয়ে চলা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে একটি রিট পিটিশনের ভিত্তিতে গত ১৯ জানুয়ারি তারাপুরে রাগীব আলীর দখলদারিত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ।