সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না ওসমানীনগরের লুৎফুর রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ অক্টোবর ২০১৬, ১:৪৪ অপরাহ্ণ
সুরমা নিউজ:
জেলা পরিষদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে বর্তমান প্রশাসকদের প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতার বিষয়ে নতুন বিধি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে একজন প্রশাসককে আগে পদত্যাগ করতে হবে। এই বিধি যোগ করে সংশোধনী আনা হয়েছে স্থানীয় সরকার (জেলা পরিষদ) আইনে। এ আইনের ফলে সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এডভোকেট লুৎফুর রহমান।
জানা যায়, সংশোধনীটি আজ সোমবার মন্ত্রিসভায় তোলা হবে। এটি অনুমোদন পেলে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন বর্তমানে সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে থাকা লুৎফুর রহমান।
জেলা পরিষদ আইনে সংশোধনীর বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, জেলা পরিষদ আইনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা থাকলেও প্রশাসকের বিষয়টি সেখানে উল্লেখ নেই। তাই তাতে সংশোধনীর প্রয়োজন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, তারা চায় না বর্তমান প্রশাসকরা পদে থেকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হোন। মন্ত্রণালয়ও তাদের সঙ্গে একমত। এ ব্যাপারে আইনে সংশোধনী আনা হচ্ছে। কাল সোমবার মন্ত্রিসভায় সংশোধনীটি তোলার কথা রয়েছে।
স্বপদে থেকে জেলা প্রশাসকরা নির্বাচন করলে তা নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধার কারণ হবে বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মোহম্মদ আবদুল মোবারক। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রশাসক পদে থাকা অবস্থায় কাউকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে দেয়া ঠিক হবে না। এটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে অন্তরায়। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আস্থার সংকটও সৃষ্টি হতে পারে তাতে।’
জেলা পরিষদ আইন সংশোধন ও তার প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রশাসক থাকা অবস্থায় কেউ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।’
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট লুৎফুর রহমান চলতি বছরের ১৯ জুলাই সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান এ পদে ছিলেন। তবে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুতে পদটি শুন্য হয়।
লুৎফুর রহমান সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের বড় হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বেশিরভাগ সময়েই বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৬২ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পণ করেন, ১৯৭০ ও ১৯৭২ সালে তিনি যথাক্রমে জাতীয় পরিষদের এমপিএ ও এমসিএ নির্বাচিত হোন এবং বর্তমানে তিনি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।