ওসমানীনগরে জমে উঠেছে পশুর হাট
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ওসমানীনগর উপজেলায় বিভিন্ন বাজারে কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে। তবে বাজারে পশুর আমদানী বেশী হলেও দাম বেশী হওয়ার কারনে বেচা বিক্রি কম বলে জানিয়েছেন একাধিক বিক্রেতা। ওসমানীনগর উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র গোয়ালাবাজার গত বুধবার ছিল হাট বাজার। তাই ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপছে পড়া ভীড় ছিল রাত ১০ টা পর্যন্ত। ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকী থাকায় বাজারের ভীড়ও আস্তে আস্তে বেড়েই চলছে। শেষ মুহুর্তে আরো বেশী ভীড় হবে এবং গভীর রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা ও গরুর বাজার কর্তৃপক্ষ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গরুর বাজার গোয়ালাবাজার সম্পূর্ন হাট ছিল গরু,ছাগলে পরিপূর্ন। বিদ্যুতের লাইটিং থাকায় ক্রেতাগন স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। তবে দেশী-বিদেশী গরুর আমদানী প্রচুর হলেও দাম বেশী থাকায় মানুষকে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় ভারত থেকে গরু কম আমদানী হওয়ার কারনে দাম একটু বেশী। অনেককে কোরবানীর পশু না কিনে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে আরো দু-এক দিন অপেক্ষা করে কোরবানীর পশু কিনবেন বলে জানিয়েছেন অনেকে। বাজারে দাম বেশী থাকায় অনেক বিক্রেতাকেও তাদের আমদানীকৃত গরু বিক্রি না করে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। ক্রেতা কাওছার আহমদ জানান, বাজারে গরুর আমদানী বেশী হলেও বাজারে দাম খুব বেশী তাই কোরবানীর গরু কিনতে হিমশিম খাচ্ছি।
বিক্রেতা শেখ সুহেল জানান, বাজারে গরুর দাম বেশী হওয়ায় অনেক ক্রেতা কোরবানীর পশু না কিনে চলে যাচ্ছেন। যার ফলে আমরা আশানুরুপ ভাবে বিক্রি না করতে পারায় সে গুলো নিয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। একটি গরু ৭০ হাজার টাকা দাম চাইলেও ক্রেতারা ৪০ হাজার টাকা দাম করেছেন। তাই বিক্রি করতে পারিনি। তবে ঈদের আগে ২ / ১ দিন বাজার আরো অনেক ভাল হবে বলে আশা করছি।